সুদের শিকার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের তাসলিমা আক্তার

মোহাম্মদ আলী সরকার, শায়েস্তাগঞ্জ থেকে ॥ শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার চাঁনপুর গ্রামে স্বামী সুদে আনা ঋণ পরিশোধ করতে না পারায়, স্বামীর সাথে ঝগড়ার এক পর্যায়ে নিজের পেটে নিজে ছুরিকাঘাত করে মারা গেছে স্ত্রী। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত তাসলিমা আক্তার (২২) শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নূরপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের চাঁনপুর গ্রামের কুরবান আলীর স্ত্রী। তাসলিমা আক্তারের তিন বছর এবং আট মাসের দুইটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার স্বামীর ঋণের টাকা নিয়ে স্ত্রী তাসলিমার সাথে কথা কাটাকাটি হয় কুরবান আলীর। এক পর্যায়ে তাসলিমা নিজ পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক হবিগঞ্জ আড়াইশ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র আরো জানায়, তাসলিমার স্বামী কুরবান আলীকে তার শ্বশুর সুদে টাকা ধার এনে দেন। কুরবান আলী সেই টাকা পরিশোধ করতে না পারায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে রাগে-ক্ষোভে তাসলিমা নিজের পেটে নিজেই ছুরিকাঘাত করেন। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ও পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নেয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ দুদু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান- আমি শুনেছি কুরবান আলীর স্ত্রী নিজেই নিজের পেটে স্টেপ করেছে। পরে আহত অবস্থায় হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে সিলেট রেফার করেন এবং বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় তাসলিমা।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি নাজমুল হক কামাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।