স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ আড়াইশ’ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে রোগীরা এসে নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এতে একদিকে দালালদের খপ্পরে পড়েন অন্যদিকে হাসপাতালের কর্মচারীদের হাতেও নাজেহাল হন। হবিগঞ্জ জেলার একমাত্র চিকিৎসার শেষ আশ্রয়কেন্দ্র এই হাসপাতাল। কিন্তু হাসপাতালের কিছু অসাধু পিয়ন ও আয়ারা বিভিন্ন ক্লিনিকে রোগী পাঠিয়ে কমিশন নিচ্ছেন। সামান্য রোগ বালাই নিয়ে এলেও কমিশন পেয়ে তারা রোগীদের বিভিন্ন ক্লিনিকে পাঠিয়ে দেন। গতকাল সোমবার দুপুরে নবীগঞ্জ উপজেলার বৈলাকপুর গ্রামের তাহের মিয়ার স্ত্রী আকলিমা বেগম প্রসুতি ব্যথা নিয়ে সদর হাসপাতালে আসেন। এ সময় গাইনি ওয়ার্ডের নার্স পারভিন আক্তার বলেন, আকলিমা বেগমের নরমাল ডেলিভারী হবে। আকলিমাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। কোন এক সময় আয়া জয়ফুল বেগম প্রসুতি আকলিমার স্বামীকে বলেন, নরমাল ডেলিভারী হলে ঝুঁিক আছে। মা অথবা সন্তানের মৃত্যু হতে পারে। তাই ওই রোগীকে সিজার করালে ঝুঁকি থাকবে না। এ সময় রোগীনির স্বামী আর্থিক অবস্থা খারাপ জানালে ওই আয়া তাকে কম টাকায় শহরের রাজনগরের একটি ক্লিনিকে সিজার করাতে পারবে বলে জানায়। এরপর ওই আয়া আকলিমার স্বামীর নিকট দরদাম করে ১২ হাজার টাকা ঠিক করে ওই ক্লিনিকে পাঠায়। সেখানে যাবার পর এ টাকায় সিজার হবে না বলে ক্লিনিকের স্টাফ। এ নিয়ে ওই রোগীর স্বামী বিড়ম্বনায় পড়েন। অবশেষে ১৪ হাজার টাকায় সিজার করাতে সম্মত হয় ওই ক্লিনিক। আকলিমার স্বামী তাহের মিয়া আরও অভিযোগ করেন আমাকে ভয় দেখিয়ে ওই ক্লিনিকে পাঠানো হয়। আমাকে নার্স পারভিন নরমাল ডেলিভারীর কথা বলেছিল। আমি জয়ফুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে আড়াইশ’ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ হেলাল উদ্দিন জানান, আমি হবিগঞ্জের বাইরে আছি। আরএমওকে বলে দিয়েছি। আমি এসে অভিযুক্ত জয়ফুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।