আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সুকোমল রায় বললেন
জামাল মোঃ আবু নাছের ॥ হবিগঞ্জের মাধবপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী শ্রীধাম দাস গুপ্তের শোচনীয় পরাজয় ঘটেছে। তিনি শুধু হেরেই যাননি, হারিয়েছেন জামানতও।
প্রচার-প্রচারণার দুর্বলতা, দলীয় নেতাকর্মীরা তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে যাওয়ায় আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর পরাজয় হয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
অপরেিক বিএনপি নেতারা দলীয় প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার কারণ হিসেবে মনে করেছেন বর্তমান সরকারের প্রতি মানুষের অনীহা ও বিগত তিনটি নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে যাওয়ার ফল হিসেবে জনগণ হাবিবুর রহমান মানিককে ভোট দিয়েছেন। দুই যুগ পর প্রথম বারের মতো বিএনপি মাধবপুর পৌরসভার মেয়র পদটি দখলে নিলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের পরাজিত মেয়র প্রার্থী শ্রীধাম দাশ গুপ্ত বলেন দলীয় লোকজন আন্তরিকভাবে কাজ না করা, অনেক নেতাকর্মী দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় নৌকার পরাজয় হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সুকোমল রায় বলেন প্রার্থী সিদ্ধান্তে ভুল ছিল। দল যাকে মনোনয়ন দিয়েছে তার নূন্যতম মেয়র হওয়ার যোগ্যতা নেই। তাই এ পরাজয়।
আওয়ামী লীগের মাধবপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও আন্দিউড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান বলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র শাহ মোঃ মুসলিম এবং বর্তমান মেয়র হীরেন্দ্র লাল সাহার ভাই বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় দলীয় নেতাকর্মীরা তিন ভাগে বিভক্ত ছিল। এছাড়া আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়নের সিদ্ধান্তে ভুল ছিল। যার কারণে এ পরাজয়।
নির্বাচনে বিজয়ী বিএনপি প্রার্থী হাবিবুর রহমান মানিক পেয়েছেন ৫হাজার ৩১ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী পংকজ কুমার সাহা পেয়েছেন ৪হাজার ১৮৫ ভোট, অপর বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ মোঃ মুসলিম পেয়েছেন ৩হাজার ১৮৫ ভোট এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী শ্রীধাম দাশ গুপ্ত পেয়েছেন ৬শত ৮ভোট।
মাধবপুর পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আলাউদ্দিন আল রনি বলেন- সকল সড়যন্ত্র ও রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে জনগণ ধানের শীষে ভোট দিয়ে প্রমাণ করেছে পৌরবাসী সরকারের সাথে নেই। তারা গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার চায়। এ জন্য বিএনপির নেতাকর্মী ও পৌরবাসীর কাছে মেয়র হাবিবুর রহমান কৃতজ্ঞ।