প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সুদৃষ্টি কামনা
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ আগামী ১৬ জানুয়ারি নবীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন। ওই নির্বাচনে নবীগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন বর্তমান কাউন্সিলর মোঃ আলাউদ্দিন, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি শেখ শাহনুর আলম ছানু, নবীগঞ্জ পৌর যুবলীগের আহবায়ক ফজল আহমদ চৌধুরী, ছাত্রলীগ নেতা শেখ জগলুল হাসান মিঠু, (অব: আর্মি) শাহ্ ফজলুল করিম, মোঃ শাফি মিয়া তালুকদার। প্রার্থীদের মধ্যে ফজল আহমদ চৌধুরীকে ঘিরে শান্তিপ্রিয় ভোটার ও জনগণের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাসী লালনসহ নানা অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। তিনি রাজনৈতিক নেতৃত্বকে পুঁজি করে দীর্ঘদিন যাবৎ নবীগঞ্জ পৌর এলাকার হাসপাতাল রোডসহ তিমিরপুর-জয়নগরে অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০১২ইং সনের ১৫ অক্টোবর নবীগঞ্জ শহরের ওসমানী রোডস্থ নাইস রেস্টুরেন্ট ও অজিদ ড্রাগ হাউজের সামনে দিনদুপুরে ফিল্মী স্টাইলে এক ব্যবসায়ীর নিকট থেকে ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা ছিনতাই ঘটনায় ওই সময়ে তিনি টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হন। ওই দিনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেই সময়কার জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকাগুলোতে প্রকাশিত ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ১৫ অক্টোবর ২০১২ইং সোমবার দুপুরের দিকে উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের হৈবতপুর গ্রামের ফয়জুল হকের পুত্র রানু মিয়া বিদেশ থেকে তার ভাইয়ের পাঠানো ৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নবীগঞ্জ পৌর এলাকার তিমিরপুর গ্রামের বাবুল নামের এক ব্যক্তির নিকট থেকে শহরের আল-রোজি হোটেলে টাকা লেনদেন করেন। রানু টাকা বুঝে পাওয়ার পর ঔষধ কিনার জন্য অজিদ ড্রাগ হাউজে আসেন। ঔষধ ক্রয় করে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার সময় তৎকালীন পৌর যুবলীগের সভাপতি, বর্তমান আহবায়ক ফজল আহমদ চৌধুরী পিছন দিক থেকে জাপটে ধরে রানুর কাছ থেকে টাকার ব্যাগ নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তখন রানু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জাপটে ধরেন ফজল চৌধুরীকে। ওই সময়ে রানুর শোর চিৎকারে আশ-পাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে আটক করেন। পরে হবিগঞ্জ-নবীগঞ্জ সড়কের জনতা স্টোরের পিছনে স্থানীয় তৎকালীন প্যানেল মেয়র রিজভী আহমদ খালেদ ও নবীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আঃ গফুর চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা আব্দুল মুকিত চৌধুরীর সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে জনতার সামনে ফজল চৌধুরী ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা ফেরত দেন। বাকী ১ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা ফেরত দেয়ার জন্য তার আপন বড় ভাই সাবেক মেম্বার বশির আহমদ চৌধুরী এক সপ্তাহ সময় নেন। এরপর থেকে ফজল আহমদ চৌধুরী আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেন।
আগামী ১৬ জানুয়ারির নির্বাচনে প্রশাসন ও সকল পর্যায়ের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি এলাকার জনগণের দাবি পূর্ব তিমিরপুর জয়নগর সেন্টারটি যেন গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়। কোন সন্ত্রাসী সিন্ডিকেটের কারণে যেন নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘিœত না হয় সে ব্যাপারে প্রশাসনের আন্তরিক ভূমিকা সকলেই কামনা করেন।