স্টাফ রিপোর্টার ॥ ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বানিয়াচঙ্গ উপজেলার বিথঙ্গলের শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ গোসাই’র বড় আখড়ার জমি থেকে মাটি উত্তোলন করায় এক্সকেভেটর জব্দ করেছে পুলিশ। অপরদিকে এক্সকেভেটর জব্দ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে আখড়ার কমিটি সদস্য ও ভক্তদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন আলী হোসেন, বাবুল মিয়া গং। এ ঘটনায় নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বানিয়াচং থানায় জিডি করেছেন আখড়ার ভক্ত মনোরঞ্জন সরকার।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, বিথঙ্গলের হাসনাবাদ মৌজার জেএল নং-১৪৪, আরএসজেএল নং-১৪৯, এস এ খতিয়ান নং-৫, এসএ দাগ নং-১১৭৯, মোয়াজী ৫.১২ শতক; এস এ খতিয়ান নং-২২, এসএ দাগ-১১৭৯, মোয়াজী ২৯ শতক লায়েক পতিত রকম ভূমির প্রকৃত মালিক বিথঙ্গলের ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ গোসাই’র বড় আখড়া। কিন্তু ওই এলাকার আলোচিত ভূমিদস্যু আলী হোসন তার ছেলে বাবুল মিয়া, মইদর মিয়াসহ ২৫ জনের একটি চক্র উল্লেখিত দাগের ভূমিটি দখলে নেয়ার চেষ্টা চালালে আখড়া কমিটির নেতৃবৃন্দ ও আখড়ার ভক্তরা বাধা দেন। পরবর্তীতে এ নিয়ে এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। এদিকে আখড়ার জায়গা উদ্ধারের জন্য আখড়ার মহন্ত সুকুমার দাস গোসাই বাদী হয়ে গত ৫ জানুয়ারি হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ইসলামপুরের আলী হোসেন, তার ছেলে বাবুল মিয়া মিয়া, মইদর মিয়া, আউয়াল মিয়া, দয়াল মিয়া, মোতালিব মিয়া, পাগলসি গ্রামের আশরাফ উদ্দিন, কুতুব উদ্দিন, শরীফ উদ্দিন, জিয়া উদ্দিন, সাবিনা খাতুন, জলিল মিয়া, হাবিবুর রহমান, আজাদ মিয়া, রইছ মিয়া, আপ্তাব উদ্দিন, ফরিদ উদ্দিন, আজমান মিয়া, সুলেমান মিয়া, আরফান মিয়া, কাপ্তান মিয়া, গোলাপ মিয়াকে আসামী করা হয়। আদালত শুনানী শেষে ওই ভূমিতে স্থিতাবস্থা বজায় এবং শান্তি শৃংঙ্খলা রক্ষায় উভয় পক্ষকে কারণ দশানো নোটিশ প্রেরণ করার জন্য বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দেন। এছাড়াও আদালত থেকে আগামী ২৫ মার্চের মধ্যে বিরোধপূর্ণ জায়গার প্রকৃত মালিক কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বানিয়াচং থানা পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়। পরবর্তীতে বানিয়াচং থানা কর্তৃপক্ষ মামলাটি তদন্ত করার জন্য বিথঙ্গল ফাঁড়ির এসআই মলাই মিয়াকে দায়িত্ব প্রদান করে। কিন্তু মামলা দায়েরের পরই আলী হোসেন গং আদালতের ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বিরোধপূর্ণ ভূমিতে অবৈধভাবে এক্সকেভেটর দিয়ে মাটি উত্তোলন শুরু করে। এ খবর পেয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মলাই মিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে এক্সকেভেটরটি জব্দ করেন। পরে মুচলেকা নিয়ে এক্সকেভেটরটির মালিক পুলিশের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এদিকে আখড়ার ভূমি থেকে মাটি উত্তোলনের কাজ বন্ধে পুলিশকে সহযোগিতা করায় উত্তেজিত হয়ে আলী হোসেন, বাবুল মিয়া গং আখড়ার ভক্ত মনোরঞ্জন বৈষ্ণবকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এতে নিরাপত্তাহীন হয়ে নিজের জীবন রক্ষার জন্য বানিয়াচং থানায় জিডি করেন মনোরঞ্জন বৈষ্ণব।