২৮ নভেম্বরের মধ্যে জেলার সকল সড়ক ও মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ না হলে ২৯ নভেম্বর বাস চলাচল বন্ধ করে সকল বাস জেলা প্রশাসকের কাছে দিয়ে দেয়া হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী ২৮ নভেম্বরের মধ্যে হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন সড়ক মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ না হলে সকল সড়কেই বাস চলাচল স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন হবিগঞ্জ মটর মালিক গ্রুপ, জেলা বাস, মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন সমন্বয় পরিষদের নেতৃবৃন্দ। একই সাথে তারা সকল বাস জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করে দেবেন বলেও জানান। গতকাল বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ হুশিয়ারি দেন।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি আলহাজ্ব মো. ফজলুর রহমান চৌধুরী বলেন, হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন সড়ক মহাসড়কে অবৈধ গণপরিবহণ চলাচল করছে। এমনকি হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে মহাসড়কে সিএনজি অটোরিক্সাও দেদারছে চলছে। এসব পরিবহন বন্ধের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আমরা দাবি জানিয়ে আসছি। বিভিন্ন সময় বাস চলাচল বন্ধ করে কর্মবিরতি পালন করেছি। এ সময় প্রশাসনের কর্মকর্তারা অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
তিনি আরোও বলেন, এসব অবৈধ যানবাহনের কারণে দিনের পর দিন মোটা অংকের লোকসান গুণতে হচ্ছে বৈধ পরিবহনগুলোকে। অনেক পরিবহন এখনও দেওলিয়া হওয়ার পথে। পাশাপাশি অবৈধ পরিবহনগুলোর বেপরোয়া চলাচলের কারণে প্রাণ দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। কিন্তু এরপরও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। বাস শ্রমিকরা এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করলে মারধরের শিকার হতে হয়।
ফজলুর রহমান চৌধুরী আরোও উল্লেখ করেন সর্বশেষ গত ১৪ অক্টোবর আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু এরপরও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নেয়ার কারণে ২০ অক্টোবর বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার আমাদের আশ্বস্ত করেন ১ নভেম্বর থেকে অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া শুরু হবে। কিন্তু ১৮ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। যে কারণে বাধ্য হয়ে আমাদেরকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ি আগামী ২৮ নভেম্বরের মধ্যে জেলার বিভিন্ন সড়ক মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ না হলে ২৯ নভেম্বর থেকে বাস চলাচল স্থায়ীভাবে বন্ধ করে বাসগুলো জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করে দেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- হবিগঞ্জ জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো. সজিব আলীসহ নেতৃবৃন্দ।