মটর মালিক গ্রুপ সভাপতি ফজলুর রহমান চৌধুরী বললেন
মঈন উদ্দিন আহমেদ ॥ হবিগঞ্জ-সিলেট সড়কের ধারণ ক্ষমতানুযায়ী ‘হবিগঞ্জ-সিলেট এক্সপ্রেস’ নামক গাড়ি চলাচল করছে। এতে যাত্রীদের কোন সমস্যা হচ্ছে না। তাই এ রাস্তায় বিআরটিএ’র গাড়ি চলাচলের কোন প্রয়োজন নেই বলে জানান হবিগঞ্জ মটর মালিক গ্রুপ সভাপতি আলহাজ¦ মোঃ ফজলুর রহমান চৌধুরী। গতকাল দুপুরে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, হবিগঞ্জ-সিলেট এক্সপ্রেস যাত্রীদের সুবিধা বিবেচনায় প্রতি ১৫ মিনিট পর পর হবিগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাচ্ছে। আর ভোর বেলা ২০ মিনিট অন্তর গাড়ি সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ঠিক একইভাবে সিলেট থেকেও ছেড়ে আসছে ২০ মিনিট পর পর। আর সন্ধ্যায় ২৫ মিনিট পর। চেষ্টা করা হচ্ছে যাত্রী সেবার মান আরও বাড়াতে। ইতোমধ্যে পুরনো গাড়ির স্থলে নতুন আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত গাড়ি সংযোজিত হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে পুরনো সকল গাড়িই পরিবর্তন করে সে স্থানে আধুনিক গাড়ি রিপ্লেস হবে। এতে যাত্রী সেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে। ওই রাস্তায় এসি বাস সার্ভিস প্রক্রিয়াও চলমান।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান- বাস চলাচলের ক্ষেত্রেও পিক আওয়ার-অফপিক আওয়ার রয়েছে। পিক আওয়ারে যাত্রীদের চাপ থাকে। সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত পিক আওয়ার। এ সময় দেখা যায় আসনসংখ্যার চেয়ে যাত্রী থাকে বেশি। অনেকে কর্মস্থল কেউবা আবার স্কুল কলেজে যেতে তাড়া থাকে। বিকেলে ঘেরে ফেরার তাড়া। যাত্রীরা কষ্ট স্বীকার করে তার নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে রাজী থাকেন। তাদের স্বার্থ বিবেচনায় পিক আওয়ারে যারা দাঁড়িয়ে যেতে চান তাদেরকে চালকরা নিয়ে থাকে। এটি লন্ডন সিটিতেও হয়ে থাকে। তাই ওই সময়টিকে আমরা বিবেচনা করে থাকি। কিন্তু অফপিক আওয়ারে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করলে বা রাস্তায় স্টপেজ ছাড়া যত্রতত্র গাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী উঠানামা করলে এবং এটি প্রমাণিত হলে চালকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। আমাদের বিধান অনুযায়ী চালককে ৩ দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়ে থাকে।