স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জের গ্রামাঞ্চলে রীতিমতো শীত পড়ে গেছে। সেই সাথে শুরু হয়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। ইতোমধ্যে হবিগঞ্জ আড়াইশ’ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু আসতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে ঠান্ডাজনিত কারণে এক নবজাতক মারা গেছে। বাহুবল উপজেলার শিমুলিয়াম গ্রামের আমির আলীর ২৫ দিনের শিশুপুত্র রিফাত মিয়া গতকাল শুক্রবার সকালে মারা যায়।
কয়েকদিন ধরে হবিগঞ্জ জেলায় শীত অনুভূত হচ্ছে। ফলে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্তদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি। অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়লেও অক্সিজেন, খাবার স্যালাইনসহ ওষুধ সংকট রয়েছে। প্রয়োজনের সময় চিকিৎসক পাওয়া যাচ্ছে না।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বেশির ভাগই ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত। গতকাল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, শিশু ওয়ার্ডে প্রচ- ভিড়। মেঝেতে অনেক বিছানা। শিশুদের সঙ্গে অভিভাবকেরা রয়েছেন। কয়েকজন অভিভাবক বলেন, শহরে শিশুদের চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা তেমন একটা নেই। বাধ্য হয়ে শিশুদের মেঝেতে রাখতে হচ্ছে।
ওয়ার্ডের একটি কোণে যন্ত্রের সাহায্যে নবজাতকদের ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিরাময়ে উত্তাপ দেওয়া হয়। দুই-তিনজন শিক্ষানবিশ নার্স একটি শিশুকে এ যন্ত্রের সাহায্যে সেবা দিয়ে থাকেন। অথচ অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায় ১০/১২টি শিশুকে।
অনেক শিশু রোগীর অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করেও চিকিৎসকও পাওয়া যায় না। নার্সরাই পালা করে চিকিৎসা দেন। এছাড়া অক্সিজেন না থাকায় শিশুরা ভোগান্তিতে পড়েছে। এ ছাড়া শয্যা না পেয়ে ঠান্ডার মধ্যেও শিশুকে মেঝেতে রাখতে হচ্ছে। শিশু ওয়ার্ডের শিশুদের জন্য আলাদা করে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে হাসপাতালের আরএমও ডাঃ শামীম আরা জানান, সব ব্যাপারেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।