এসএম সুরুজ আলী ॥ আজমিরীগঞ্জে অতি-দরিদ্রদেরকে দেয়া সরকারের ১০ টাকা কেজির চাউল স্বল্প মূল্যে কিনে নিচ্ছেন একদল অসাধু ব্যবসায়ী। এভাবে চাল বিক্রি হলেও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। সরেজমিনে হবিগঞ্জের মুখের এ প্রতিনিধির ক্যামেরায় এ অনিয়মের দৃশ্য ধরা পড়ে। তবে ইউপি চেয়ারম্যান বলছেন আমাদের এখান থেকে চাল নিয়ে গিয়ে কেউ বিক্রি করলে সে ব্যাপারে আমাদের কিছু করার নেই। ইচ্ছা করলে উপজেলা প্রশাসন সরকারি চালের ক্রেতাকে আটক করতে পারেন।
গত সোমবার সরেজমিনে আজমিরীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় অতি-দরিদ্র লোকজনদের মধ্যে ১০ টাকা কেজি চাল মাথাপিছু ৩০ কেজি করে দেয়া হচ্ছে। ইউনিয়ন কার্যালয় থেকে চালের বস্তা নিয়ে বের হওয়ার পরই চাল গ্রহণকারী দরিদ্রদের কাছ থেকে চাল ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সদস্যরা চালগুলো ক্রয় করে নিয়ে যান। প্রতি বস্তা চাল ১ হাজার টাকায় ক্রয় করছেন তারা। এ সময় ক্যামেরায় ধরা পড়ে আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার শরীফনগরের নূরুল হক চাল ক্রয় করছেন। এ ব্যাপারে তার সাথে আলাপ হলে তিনি চাল ক্রয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন। একই সময়ে শরীফনগরের লাইজু আক্তার নামে এক মহিলাও চাল করছিলেন। তিনি এ প্রতিনিধিকে দেখে সেখান থেকে চলে যান। তবে দৈনিক হবিগঞ্জের মুখের এ প্রতিনিধি সেখানে যাওয়ার পর চাল ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যান। এ ব্যাপারে ১০ টাকা কেজি চাউলের সুবিধাভোগী সাজেরা আক্তার জানান, বাড়িতে প্রয়োজনীয় চাল রয়েছে। এ জন্য সরকারি যে চাউল পাই তা বিক্রি করে দেই। এখন চাউলের দাম বেশি হওয়ায় এক বস্তা চাউলে এক হাজার টাকা পেয়েছি।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ সেন জানান, সরকারি চাউল এভাবে বিক্রি করা সম্পূর্ণ অবৈধ। আমাদের এখান থেকে কেউ চাউল নিয়ে গিয়ে বিক্রি করলে সেটি প্রশাসন দেখবে। এখানে আমাদের করার কিছু নেই।