স্বাধীন বাংলা রেস্টুরেন্টের ম্যানেজারকে ১ মাসের সাজা ॥ মুখে মাস্ক ব্যবহার না করায় ৫ জনকে এক হাজার টাকা জরিমানা
স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাস্ক ব্যবহার না করা, সরকারি জায়গা দখল করে সড়কের পাশে ইট বালু রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, হবিগঞ্জ আড়াইশ’ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে দালালি এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পরিবেশনের অপরাধে তিন ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমান আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান নিজে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। তাঁর সাথে ছিলেন এনডিসি শাহ জহুরুল হোসেন ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শামসুদ্দিন মোঃ রেজা। সদর হাসপাতালের সামন এবং থানার বিপরীতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানের শুরুতেই হবিগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে মাস্ক ব্যবহার না করায় মনু মিয়া নামের এক ব্যক্তিসহ ৫ জনকে ২শ টাকা করে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পরে সদর হাসপাতালের সম্মুখে স্বাধীন বাংলা রেস্টুরেন্টে অস্বাস্থ্যকর উপায়ে খাবার তৈরি এবং নোংরা পরিবেশে খাবার পরিবেশনের দায়ে হোটেল ম্যানেজার সানু মিয়াকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করা হয়।
এছাড়া সদর থানার সামনে পরিচালিত অভিযানে মোটর সাইকেলের লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকার দায়ে চারজনকে নগদ ৪ হাজার টাকা জরিমানা ও মামলা দেয়া হয়।
অপরদিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাকিয়ারআব্দা গ্রামের মতলিব মিয়ার পুত্র হাসপাতালের দালাল মোঃ কাইয়ুমকে আটক করেন। তাকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদ- দেয়া হয়।
একই সময়ে হাসপাতালের সম্মুখে অবৈধভাবে ইট, বালু রেখে ব্যবসা পরিচালনা করায় অনন্তপুর গ্রামের মৃত কদর আলীর পুত্র আব্দুর রাজ্জাককে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদ- এবং তার ইট বালু জব্দ করেন ভ্রাম্যমান আদালত। ভ্রাম্যমান আদালতকে সহযোগিতা করে সদর থানার এসআই হারুন আল রশিদসহ পুলিশ। সাজা দিয়ে তিনজনকে কারাগারে প্রেরণের পর রাজ্জাকের ইট, বালু সিমেন্ট নিলামে বিক্রি করা হয়। নিলামে ৩২ হাজার টাকায় এসব ক্রয় করেন হবিগঞ্জ শহরের সিনেমা হল সড়কের যুবলীগ নেতা মোঃ মানিক মিয়া।
অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, জনস্বার্থে এ অভিযান চলমান থাকবে।