মামলার ৩ নম্বর আসামী শায়েস্তাগঞ্জের রনিকে হবিগঞ্জ শহর থেকে, ৪ নম্বর আসামী অর্জুন লস্করকে মাধবপুরের মনতলা থেকে এবং ৫ নম্বর আসামী রবিউল ইসলামকে নবীগঞ্জের ইনাতগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিউলকে গ্রেফতার করেছে হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশ ॥ প্রধান আসামী সাইফুর ধরা পড়েছে সুনামগঞ্জের ছাতকে

ফয়সল মাহমুদ ॥ সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার ৩ আসামীকেই হবিগঞ্জ জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত তিন আসামীর মধ্যে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বাগুনিপাড়ার শাহ জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে শাহ মাহবুবুর রহমান রনিকে হবিগঞ্জ শহরের অনন্তপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। রনি মামলার ৩ নম্বর আসামী। মামলার ৪ নম্বর আসামি অর্জুন লস্করকে মাধবপুর উপজেলার বহরা ইউনিয়নের (মনতলা) ভারতীয় সীমান্তবর্তী গ্রাম দুর্লভপুর থেকে গ্রেপ্তার করে সিলেট গোয়েন্দা পুলিশ। অর্জুন সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে। সে গ্রেপ্তার এড়াতে নিজের দাড়ি-গোপ কেটে ফেলে। মাধবপুর থানার ওসি ইকবাল হোসেন গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। মামলার ৫ নম্বর আসামী রবিউল হাসানকে গ্রেফতার করেছে হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশ। রবিবার রাত ১০টার দিকে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোঃ সেলিম ও ডিবি পুলিশের ওসি মানিকুল ইসলামের নেতৃত্বে হবিগঞ্জ পুলিশের একটি দল নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জের নিজগ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে। রাত সাড়ে ১২টায় তাকে হবিগঞ্জ ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়। রাতেই তাকে সিলেট পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা বিপিএম, পিপিএম দৈনিক হবিগঞ্জের মুখকে জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
এছাড়া গতকাল সকাল ৮টার দিকে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা নোয়ারাই খেয়াঘাট থেকে গ্রেপ্ততার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন ২০ বছর বয়সী গৃহবধূ। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই গৃহবধূকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে আটকে রাখে দুজন। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেছেন। মামলায় ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার অভিযুক্ত ৬ জনের মধ্যে ৪ জনই ধরা পড়েছে। পলাতক দুজন হলো সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫)।