স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচং উপজেলার মক্রমপুর গ্রামে মসজিদে কিয়াম করা নিয়ে সুন্নী ও তাবলীগপন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। এ সময় বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহত জুয়েল মিয়া (৩৫), শাহজাহান মিয়া (৫০) ও তাহের আলীকে (৫৫) উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এছাড়া মাওলানা আব্দুল হামিদ, হাফেজ আব্দুর রশিদ, শাহজাহান মিয়া, আব্দুর রউফ, মশ্বব আলী ও শাহ আহমদের ঘরবাড়ি ভাংচুর হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোঃ সেলিমসহ বানিয়াচং থানার একদল পুলিশ ও সুজাতপুর ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। গতকাল শুক্রবার জুম্মার নামাজের পূর্বে মক্রমপুর জামে মসজিদ ও আশপাশের এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এলাকার মসজিদে মিলাদে কিয়াম করা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে কয়েকদিন পূর্বে গ্রামের মুরুব্বীরা ভিন্ন মতাবলম্বী দু’পক্ষকে নিয়ে শালিস বৈঠক করেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় মসজিদে নামাজের পূর্বে কিয়াম হবে না। নামাজের পর হবে। যারা কিয়াম করতে আগ্রহী তারা কিয়ামে অংশগ্রহণ করবেন এবং যারা আগ্রহী নন তারা নামাজ শেষে কিয়াম না করে বেরিয়ে যাবেন। এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলার স্বার্থে উভয়পক্ষ মুরুব্বীদের দেয়া এই সিদ্ধান্ত মেনে নেন। কিন্তু শুক্রবার একদল লোক শালিসের সিদ্ধান্ত অমান্য করে জুম্মার নামাজের পূর্বেই মসজিদে কিয়াম করতে উদ্যোগী হলে এ নিয়ে হাতাহাতির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে ইটপাটকেল ও দেশীয় অস্ত্রের ব্যবহার হয়।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ এমরান হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ধর্মীয় বিষয়টি আপসে মিমাংসা হয়ে গিয়েছিল। অল্প বয়সী কয়েকজনের অতি উৎসাহী ভূমিকার ফলে মারামারির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ইটপাটকেল ছোড়াছুড়িতে কয়েকজন সামান্য আহত এবং কয়েকটি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।