হবিগঞ্জ শহরে তালাবদ্ধ ফ্ল্যাটে একা থাকা শিশুটি ঘুম থেকে জেগে দেখে সবকিছু ধোয়ায় অন্ধকার। ধোয়া দেখে বাসায় আগুন লেগেছে বুঝতে পেরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে দরজা ভেঙ্গে শিশুটিকে রক্ষা করেন

ফয়সল মাহমুদ ॥ হবিগঞ্জ শহরে আগুনের ধোয়ার ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে ১০ বছরের এক শিশু। শহরের বাণিজ্যিক এলাকার মোতালিব প্লাজার ৩য় তলার বাসার এ ঘটনাটি এলাকায় আতঙ্ক ও আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, মোতালিব প্লাজার ৩য় তলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন সাগর মিয়া, তার মা ও ছোট ভাই সালমান। সাগর সকালে ব্যবসার কাজে বাসা থেকে বের হয়ে যান। কিছুক্ষণ পর শিশু সালমানকে ফ্ল্যাটে তালাবদ্ধ রেখে বাইরে যান তার মা। এ সময় শিশু সালমান আহমেদ তালাবদ্ধ ফ্ল্যাটে মোবাইল ফোনে গেমস খেলছিলো। হঠাৎ তার ক্ষুধা পেলে সে রান্নাঘরে গিয়ে পাতিলে চাল বসিয়ে গ্যাসের চুলায় আগুন দেয়। এক পর্যায়ে সে ঘুমিয়ে পড়ে।
এদিকে, পাতিলটি আগুনে পুড়ে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে ভবনজুড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে দমকল বাহিনীর দুটি গাড়ি আসে। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশও। এরইমধ্যে দরজার তালা ভেঙে শিশুটিকে বের করে স্থানীয়রা।
ভবনটির তত্ত্বাবধায়ক সুরুজ মিয়া জানান, পাঁচতলা ভবনের নিচ তলায় মার্কেট থাকায় বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট রয়েছে। ধোঁয়া দেখে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়।
হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম জানান, থানা থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। যদিও পাশের লোকজন তালা ভেঙে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। অল্পের জন্য শিশুটি প্রাণে রক্ষা পেয়েছে। ঘুম থেকে উঠার পর ঘটনাটি দেখে সালমান ভয় পেয়েছে বলে জানান তার বড় ভাই সাগর মিয়া। হবিগঞ্জ সদর থানার এসআই আলমগীর হোসেন বলেন, দমকল বাহিনীর সাথে ঘটনাস্থলে যাই এবং সালমানের অভিভাবকদের সতর্ক করে আসি।