প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও তারা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় প্রশাসনকে ফাকি দিয়ে আসা যাওয়া করছেন। যদিও আসার পরে নিজ ঘরে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে নিজে এবং ওপরকে বাঁচানোর জন্য।
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের সদর ঘাট গ্রামের ভিতরে গত ২/৩ দিনে ৪/৫ জন বহিরাগতদের আগমনে জনমনে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। তারা কেউ নিজ গ্রামের কেউ বাহিরের, এসেছেন আত্মীয় বাড়িতে। শুধু এখানে নয়, সম্পূর্ণ নবীগঞ্জ উপজেলার ভিতরে প্রবেশ করছেন বহিরাগতরা। হবিগঞ্জের অন্যান্য উপজেলায় যখন করোনা রোগী পাওয়া গেছে সেখানে নবীগঞ্জ এখন পর্যন্ত করোনামুক্ত। আর এই সুবাধেই বহিরাগতের আগমন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও তারা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় প্রশাসনকে ফাকি দিয়ে আসা যাওয়া করছেন। যদিও আসার পরে নিজ ঘরে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে নিজে এবং ওপরকে বাঁচানোর জন্য। কিন্তু এ নিয়ম মানছেনা কেউই। অবাধে ঘোরাঘুরি করছেন রাস্তায় বা বাজারে। প্রতিহিংসার সৃষ্টি হবে মনে করে তাদের বাধা ও দিচ্ছে না কেউ। তাই সবাই শরণাপন্ন হয় প্রশাসনের। কিন্তু মাঝে মাঝে প্রশাসনের একঘেঁয়েমির কারণে বেড়ে যায় ঝুঁকি।
এ বিষয়ে ইউএনও মহোদয়কে কল করে জানানোর পর উনি গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের ওসি কাওসার আলমকে অবগত করেন এবং কিছুক্ষণের ভিতরে গোপলা তদন্ত কেন্দ্রের ওসি কাওসার আলমের নির্দেশে সদর ঘাট নতুন বাজারে তদন্তের জন্য আসেন এস আই আরাফাত। বাজারে এসে তিনি গ্রামের একজনকে কল করেন এ বিষয় জানার জন্য কিন্তু যাকে কল করেন তার নিজের মানুষ এই বহিরাগত হওয়ায় সে এ খবর মিথ্যা বলে এস আই আরাফাতকে তথ্য দেন। যার ফলে সঠিক তদন্ত করতে ব্যর্থ হন আরাফাত। আর তাই তিনি ক্ষিপ্ত ও হন তাদের প্রতি যারা এই খবর প্রশাসনকে দিয়েছিল। পরে এই তদন্ত কেন্দ্রের ওসি কাওসার আলমের সাথে যোগাযোগ করে এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি সঠিক তদন্ত করতে উক্ত ব্যক্তির বাড়িতে পাঠিয়েছি।
কিন্তু উনি তাদের বাড়িতে না গিয়ে বাজারে এসে কল করে মিথ্যা তথ্য পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে চলে যাওয়ার কারণ চাইলে তিনি বলেন, আমি বিষয় আবার দেখতেছি। আর প্রশাসনের পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী প্রত্যেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং মেম্বারদের এ বিষয় দ্বায়িত্ব আছে। তারা ও এ বিষয়ে বহিরাগতদের বাড়িতে গিয়ে সচেতনতার দিক নির্দেশনা দেওয়ার অধিকার রাখেন। তিনি আরো বলেন, শুধু আমরা তো আর একার পক্ষে সবকিছু সম্ভব নয় তাই প্রত্যেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বারসহ এলাকাবাসীর সকল সচেতন মানুষদেরও এগিয়ে আসতে হবে। তবেই সম্ভব আমাদের সকলের নিরাপদ জীবন।
শেষ পর্যন্ত এই পরিস্থিতিতে এলাকার মানুষের মাঝে বিরাট আতংক বিরাজ করছে। তাই প্রশাসনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বহিরাগতদের আসতে বা আসার পর তাদের নজরদারি বাড়াতে এলাকাবাসীরা জোর দ্বাবী করেন।