এ ঘটনায় ওই ব্যক্তির বাড়িসহ আশেপাশের ৩টি বাড়ি লকডাউন করেছে বলে উপজেলা প্রশাসন জানায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মারা যাওয়া ব্যক্তির বয়স ৩০ বছর। পেশায় তিনি ছিলেন একজন সিএনজি চালক।
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জ উপজেলায় জ্বর ও সর্দি-কাশি উপর্সগ নিয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গত শনিবার (১৮ এপ্রিল) রাত ১২টায় গুরুতর অসুস্থ হলে জরুরী ভিত্তিতে তাদের হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে নেয়া হলে রাত ১টায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ওই ব্যক্তির বাড়িসহ আশেপাশের ৩টি বাড়ি লকডাউন করেছে বলে উপজেলা প্রশাসন জানায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মারা যাওয়া ব্যক্তির বয়স ৩০ বছর। পেশায় তিনি ছিলেন একজন সিএনজি চালক।
উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, ওই ব্যক্তি দীর্ঘ দিন জ্বর-সর্দি-কাশি ও মানসিক সম্যসায় ভুগছিলেন। গত শনিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে থেকে জ্বর-সর্দি-কাশি বেড়ে শরীর খারাপ হলে তাকে জরুরী ভিত্তিতে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার অবস্থার আরও অবনতি ঘটে এবং রাত ১টায় তার মৃত্যু হয়। সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার হার্ট এ্যাটাকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানায়। হার্ট এটাকে মৃত্যু হওয়ায় তার কোন নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। পরে গতকাল রবিবার সকালে লাশ স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। এই খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিশ্বজিত কুমার পাল পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। একই সঙ্গে ওই বাড়িসহ আশপাশের ২টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেন।
পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান হারুন বলেন, ‘স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তার নির্দেশে মৃত ব্যাক্তির বাড়িতে যোগাযোগ করলেও তাদের অসহযোগীতায় পরিবারের কারো নমুনা সংগ্রহ করতে পারিনি। আমরা আগামীকাল মঙ্গলবার তাদের বাসায় গিয়ে পরিবারের সব সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য সিলেট মেডিকেল কলেজের অণুজীব বিজ্ঞান (মাইক্রোবায়োলজি) বিভাগে পাঠানো হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল বলেন, হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ডাক্তাররা হার্টএ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবারের সদস্যরা জানায়। তারপরও আমরা তাদের ৩টি পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলেছি। তাদের পরিবারের সবার করোনা টেস্ট করা জন্য স্বাস্থ্য বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।