স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচঙ্গ উপজেলার মন্দরী ইউনিয়নের টুপিয়াজুরি গ্রামে রহিমা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেছে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। এমনকি তাকে হাত-পা বেঁধে পানিতে চুবিয়ে ফেলে রাখে। পরে স্থানীয় মেম্বার আহাম্মদ আলী ও লোকজন তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করে। গত মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনাটি ঘটে।
সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর একই গ্রামের হাছন খা’র পুত্র সজল খা (৩২) এর সাথে আদম আলীর কন্যা রহিমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন রহিমাকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন নিপীড়ন করে আসছিল। গতকাল ঐ সময় সজল খা ও হাছন খা রহিমাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। একপর্যায়ে তাকে পাশ^বর্তী পুকুরে চুবিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে রহিমাকে ফেলে চলে যায়। পরে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থা আশংকাজনক। এ ব্যাপারে বানিয়াচঙ্গ থানায় নারী নির্যাতনের একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওসি রঞ্জন কুমার সামন্ত জানান, অভিযোগ পেয়েছি, আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।