সংবাদদাতা ॥ ঐতিহ্যবাহী ফান্দাউক দরবার শরীফের পীর ও বাংলাদেশ আঞ্জুমানে খাদেমুল ইসলামের আমীর আলহাজ্ব মাওলানা মুফতি শাহ সূফী সৈয়দ ছালেহ আহমাদ মামুন আল হোসাইনী বলেছেন, সুদ ঘুষ খাওয়া জঘন্য অপরাধ। এটি সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সমাজকে রক্ষা করতে হলে ঐক্যবদ্ধভাবে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, ধর্ষণ ও ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে সরকার সংসদে আইন পাশ করেছে। কিন্তু এর প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। আমি মনে করি সংসদে সরকার পর্দার আইন করে সমাজে বাস্তবায়ন করতে পারলে ধর্ষণ, ইভটিজিং ও অন্যান্য অপরাধ নির্মুল করা সম্ভব। ভন্ড পীরের কাছ থেকে সকলকে দূরে থাকতে হবে। যে পীরে শরীয়ত মানে না, মুরীদের সেজদা নেয় সেই পীর ভন্ড। সেসব ভন্ড পীরের কাছে মুরীদ হওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও হারাম। আল্লাহ ছাড়া কাউকে সেজদা করা জায়েজ নেই। এটি শিরক। শিরক গুনাহ আল্লাহ মাফ করবেন না। পীর সাহেব আরও বলেন, শরীয়তের হুকুম আহকাম সকলকে মানতে হবে। শরীয়তের দলিল ৪টি, কোরআন, সুন্নাহ, ইজমা ও কিয়াছ। মুসলমানদেরকে এই ৪টি দলিল মেনে ও অনুসরণ করে চলতে হবে। তিনি ২৩ ফেব্রুয়ারি মাধবপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সাহেববাড়ি মাজার প্রাঙ্গণে এক ইছালে ছাওয়াব মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। ইছালে ছাওয়াব মাহফিলের আহ্বায়ক সৈয়দ রফিকুল ইসলাম ভালু মিয়ার তত্ত্বাবধানে এবং সৈয়দ আব্দুল আজিজ সাত্তারি ও ওয়াল মাছুমীর পরিচালনায় ওয়াজ করেন মাওলানা হুমায়ুন কবীর, ডাঃ মাওঃ ছালাহ উদ্দিন, মাওঃ মুখলেছুর রহমান, মাওঃ ক্বারী মোস্তাক আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও চ্যানেল আই জেলা প্রতিনিধি চৌধুরী মোহাম্মদ ফরিয়াদ, মাধবপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাবের মাধবপুর উপজেলা সংবাদদাতা কে.এম শামছুল হক আল মামুন। পরে দেশের কল্যাণ ও মঙ্গল কামনা করে সর্বশক্তিমান আল্লাহর নিকট পীর সাহেব কিবলা মোনাজাত পরিচালনা করেন।