হালাল খানা ছাড়া আল্লাহর নিকট কোন ইবাদত কবুল হবে না

ছারছীনা দরবার শরীফের পীরে কামেল আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ মোহাম্মদ মোহেববুল্লাহ (মাদ্দাঃ) বলেন, মমিন মুসলমানের ঈমানের পরিপূর্ণতা লাভ করবে তখনি যখন তার আকিদা হবে বিশুদ্ধ এবং জীবন হবে নেক আমলে ভরপুর। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি, নৈকট্য ও তার দিদার লাভের জন্য ছহী আকিদা এবং নেক আমলের কোন বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে একটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে, শুধু নেক আমল করলেই চলবে না, নেক আমলকারীকে দেখতে হবে তার মধ্যে রিয়া বা লৈাকিকতা আছে কি না। লোক দেখানো ইবাদত শিরকের অন্তর্ভূূক্ত, যা মহান আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। ইবাদত ও আমলের মধ্যে রিয়া ও লৈাকিকতা দূর করে খাটি ইবাদত করতে চাইলে প্রত্যেক মুসলমানের উচিত ইসলামী শরিয়তের পাশাপাশি ইলমে মারিফতের কঠোর অনুশীলন করা। আর এর জন্য প্রয়োজন হক্কানী পীর মাশায়েখ ও অলি আউলিয়াদের ছোহবতে জীবন অতিবাহিত করা। কেননা আল্লাহ ওয়ালাদের ছোহবত ছাড়া আল্লাহ ও তার রাসুলের সন্তুটি এবং ভালবাসা অর্জন করা সম্ভব নয়। একমাত্র আল্লাহ ও তার রাসুলের (সাঃ) সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যেই ইবাদত বন্দেগী করতে হবে। প্রত্যেক কর্মের ফল নির্ভর করে নিয়তের উপর। নিয়তকে ছহী ও শুদ্ধ করতে হবে। বেশি বেশি করে নেক আমল করতে হবে। মনগড়া জিন্দিগি করা চলবে না। ইবাদত ও আমলের দায়িত্ব নিজের উপর। শরিয়ত পরিপন্থী কোন পীরের অনুসরণ করা ইসলাম সমর্থন করে না। আমাদের ছেলেমেয়েদের দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। উত্তম চরিত্র গঠন ও আদর্শবান হতে হবে। মুসলমানদের চাল চলন, কথা বার্তা রাসুলের আদর্শ মোতাবেক হতে হবে। রাসুল পাকের নমুনায় জীবন গড়তে হবে। তিনি বলেন, কবর অত্যন্ত ভয়ানক স্থান। কবরের আযাব থেকে বাঁচতে হলে আল্লাহর হুকুম ও নবীর তরিকায় চলতে হবে। সুদ, ঘুষ, মদ, জোয়া সবই হারাম। এসব কর্মকান্ড বর্জন করতে হবে। হালাল খানা খাইতে হবে। হালাল খানা ছাড়া আল্লাহর নিকট কোন ইবাদত কবুল হবে না। তিনি ২২ জানুয়ারি মাধবপুর উপজেলাধীন ঐতিহ্যবাহী ছালেহাবাদ মাদরাসা প্রাঙ্গনে ইছালে ছাওয়াব মাহফিল ও জমিয়ইতে হিযবুল্লাহ সম্মেলন ২০২০ উপলক্ষে আয়োজিত ইছালে ছাওয়াব মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
বাংলাদেশ জমইয়তে হিযবুল্লাহ সিলেট বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ছালেহাবাদ মাদরাসার সুপার এ.কে.এস উবায়দুর রহমানের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে ওয়াজ করেন জমইয়তে হিযবুল্লাহ’র সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা আবু নছর নেছার উদ্দিন আহমদ হোসাইন, জমইয়তে হিযবুল্লাহর শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক আবু বক্কর মোহাম্মদ নেছারুল্লাহ, মাওলান মির্জা নুরু রহমান বেগ, ড. মাওলানা রুহুল আমীন ছালেহী, মাওলানা কাজী মফিজ উদ্দিন জিহাদী, মাওলানা মহিবউল্লাহ আল মাহমুদ, মাওলানা রহুল আমীন আফসারী, ঢাকা নেছারীয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল আলহাজ্ব মাওলানা ড. কাফিল উদ্দিন সালেহী সহ হুজুর কিবলার সফরসঙ্গী ও দেশ বরেণ্য ওলামায়ে কেরামগণ। উপস্থিত ছিলেন দৈনিক ইনকিলাবের মাধবপুর উপজেলা সংবাদদাতা কে.এম. শামছুল হক আল মামুন। শেষে পীর সাহেব কিবলা বাংলাদেশ সহ মুসলিম বিশ্বের শান্তি, ঐক্য, সমৃদ্ধি ও মরহুম মুসলমানদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে সর্বশক্তিমান আল্লাহর নিকট মোনাজাত করা হয়।