স্টাফ রিপোর্টার ॥ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতাকারী বাহুবল উপজেলার ৫নং লামাতাশী ইউনিয়নের কৃষকলীগ সাধারণ সম্পাদক রিপন মিয়া নিজেকে রক্ষার জন্য বিএনপি ও জামাতদের কাছে গিয়ে ধর্না দিচ্ছেন। সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রিকায় রিপন মিয়া এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এই সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরপরই রিপন মিয়া ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শরীফুল আব্দাল কুটির কাছে যান। পরবর্তীতে ওয়ার্ড বিএনপি নেতারা জেলা পর্যায়ের এক দায়িত্বশীল নেতার কাছে রিপনকে নিয়ে গিয়ে সহযোগিতা চান। পরবর্তীতে বিএনপির স্থানীয় নেতারা রিপনকে নিয়ে এক দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তার সাথে দেখা করেন। যার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে বাহুবল উপজেলা কৃষকলীগ লামাতাশী ইউনিয়ন কৃষকলীগের কমিটি অনুমোদন দেন। অনুমোদিত কমিটিতে শেখ মোক্তার হোসেন আরজতকে সভাপতি ও রিপন মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়। ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়ে রিপন মিয়া জেলা আওয়ামীলীগের নেতা সাবেক এমপি দেওয়ান শাহনওয়াজ (মিলাদ গাজী) এর সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলেন। এরপর ক্ষমতার অপব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের শাসনামলে এলাকায় ত্রাসের রাজস্ব কায়েম করেন রিপন মিয়া ও তার সহযোগি নুরুজ্জামান কনু। তাদের জন্য এলাকায় কেউ বিএনপি’র নাম মুখে নিতে পারেননি। অভিযোগ রয়েছে, তারা সরকারি গভীর নলকুপ বরাদ্দ নিয়ে সেইগুলো এলাকার বিভিন্ন লোকজনদের কাছে বিক্রি করেছেন। নলকুপ বিক্রি করেই তারা লাখ লাখ টাকার অবৈধভাবে কামাই করেছেন। শুধু তাই নয়, তারা এলাকায় এমপি’র কাছ থেকে বিভিন্ন প্রকল্প বরাদ্দ এনে সেই প্রকল্পের টাকাও আত্মসাত করেছেন। কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায়নি। এখনো তারা এলাকায় বীরদর্পে চলাচল করছেন। জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলনে কঠোর বিরোধিতা করার পাশাপাশি রিপন আওয়ামীলীগকে অর্থ প্রদান করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। ৫ আগস্টের পর তারা যেমন প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছেন, তেমনি বীরদর্পে ব্যবসা, বাণিজ্য করে যাচ্ছেন। এতে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের মাঝে। আন্দোলনকারীরা তাকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম জানান, জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলনের বিরোধীতাকারীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তাদের সন্ধান পেলে অবশ্য আমরা গ্রেফতার করবো।