মাধবপুর প্রতিনিধি ॥ মাধবপুরে জৈব পদ্ধতিতে ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করে সফলতা পেয়েছেন তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মো: আতিক হাসান সজীব। সবেমাত্র এইচএসসি পাশ করে অনার্সে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন সজীব। পাশাপাশি নিজের জমিতে জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে এর আয় দিয়ে কিনেছেন মোটরসাইকেল।
সরজমিনে উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের উত্তর সুরমা গ্রামে তার ফুলকপি ও বাঁধাকপি’র জমিতে গিয়ে দেখা যায় কৃষক সজীব জমির পরিচর্যায় ব্যস্ত। তিনি জানান, আগে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতেন। উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে এখন শুধু জৈব সার, হলুদ আঠালো ফাঁদ ও স্পোডোলিয়র ব্যবহার করে চাষাবাদ করছেন। এতে ফসলের উৎপাদন আগের চেয়ে বেশি হচ্ছে। এর আগে জৈব পদ্ধতিতে সিম চাষ করে এর লাভের টাকা দিয়ে মোটরসাইকেল কিনেছেন। এখন চল্লিশ শতাংশ জমিতে ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করেছেন। গত ১৬ অক্টোবর বীজ রোপণ করেছেন, চলতি সপ্তাহ থেকে বিক্রি শুরু হয়েছে। বাজারে শীতকালীন সবজি বেশি থাকায় দাম কম পাওয়া যাচ্ছে। তবে উৎপাদন অনেক ভালো হওয়ায় লাভের আশা করছেন তিনি।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহন লাল নন্দী জানান- ফ্লাড রিকনস্ট্রাকশন ইমারজেন্সি এসিস্ট্যান্ট প্রজেক্টের আওতায় বাঁধাকপি ও ফুলকপি প্রদর্শনীটি দেওয়া হয়। সম্পূর্ণ জৈব পদ্দতি অবলম্বন করে প্রদর্শনীটি বাস্তবায়ন করা হয়। তরুণ এই কৃষি উদ্যোক্তার সফলতা দেখে অনেকেই আমাদের সাথে যোগাযোগ করছেন জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদ করার জন্য।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সজীব সরকার বলেন- নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পুরণের জন্য জৈব পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সবজি ফসল উৎপাদনে প্রচুর পরিমাণ কীটনাশক ব্যবহৃত হয় যা স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। জৈব সার, জৈব বালাইনাশক একদিকে যেমন মাটি ও ফসলকে নিরাপদ রাখে অপরদিকে ফসলের স্বাদ ও গুনাগুণ বহুগুণ বাড়ায়। তারই ধারাবাহিকতায় নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে ফ্রিপ প্রকল্পের আওতায় মাধবপুর উপজেলায় জৈব পদ্ধতিতে ক্রিপার ও নন ক্রিপার জাতীয় সবজি প্রদর্শনী বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com