চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জের নতুনব্রিজ সংলগ্ন খোয়াই নদীর বাঁধে করিমপুর সড়কে দুই কিশোরীকে জোরপূর্বক সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় চুনারুঘাট থানা পুলিশ পারভেজ নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার রাতে নিজ বাড়ি উবাহাটা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে ওই গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে। ভুক্তভোগী দুই কিশোরী নবীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। তারা সম্পর্কে একে অপরের আপন চাচাত বোন। ওই দুইবোন রাজধানীর মগবাজারে তাদের এক আত্মীয়ের বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করছেন।
দুই কিশোরী জানান, গত ১৫ জানুয়ারি রাত অনুমান ১২ টার দিকে তারা ঢাকা থেকে এসে শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ মোড়ে নামেন। পরে ৫শ’ টাকা চুক্তিতে উবাহাটা গ্রামের ওস্তার মিয়ার ছেলে সিএনজি চালক কামালের সিএনজি রিজার্ভ করেন তারা। রাত সাড়ে ১২ টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ঢাকা রোডস্থ নতুন যাত্রী ছাউনির সামন থেকে অটোরিকশা (সিএনজি) যোগে নিজর বাড়ি নবীগঞ্জের দেবপাড়া ফিরছিলেন। পথিমধ্যে নতুন ব্রীজের মুখে গিয়ে সিএনজি চালক কামাল মিয়া বাই রোডের কথা বলে মহাসড়ক থেকে নেমে খোয়াই নদীর বাঁধে করিমপুর সড়কে সিএনজি নিয়ে প্রবেশ করেন। ব্রিজের অদূরে করিমপুর সংলগ্ন বাঁধে গিয়ে সিএনজি বন্ধ করে দেন। এসময় কামালের বন্ধু রায়হান, পারভেজ ও শিবলু ওরফে শরীফ সাথে ছিলেন। সেখানে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। পরে তাদের সাথে থাকা স্বর্ণালংকার, নগদ ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা সহ জিনিষপত্র লুটে নেয়া হয়। ওই সময় তারা শোর চিৎকার শুরু করলে ওই চক্রটি পালিয়ে যায়। পরে তারা সেখান থেকে অসুস্থ অবস্থায় এসে স্থানীয়দের অবগত করে অপর একটি গাড়িতে করে বাড়ি পৌঁছান। বাড়িতে গিয়ে তারা তাদের ভাই মল্লিক মিয়া ও ইয়াহিয়াকে জানালে তাদের দুই ভাই ওই এলাকার মুরুব্বী ও জনপ্রতিনিধিদের জানিয়ে ঘটনার পরদিন শুক্রবার চুনারুঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
ভিকটিম মরিয়মের ভাই মল্লিক মিয়া জানান, আমার বোনকে চারজন মিলে অমানুষিক নির্যাতন করে অর্থকড়ি হাতিয়ে নিয়েছে। এমন নির্যাতনের কঠোর শাস্তি চাই তাদের। মিতুর ভাই ইয়াহিয়া বলেন, সড়কে নিরাপত্তা নেই। আমার বোনকে তারা অত্যাচার করেছে, এর বিচার চাই।
চুনারুঘাট থানার ওসি নুর আলম জানান, এ ঘটনায় ৪ জনকে আসামী করে মামলা হয়েছে এবং ৩নং এজাহার নামীয় আসামী পারভেজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।