জেলা শ্রমিকদলের সমাবেশে জি কে গউছ
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র সমাজের আহ্বানে যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল, ছাত্র-শ্রমিক-জনতা’র সেই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমেই শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। তিনি গতকাল শুক্রবার রাতে শহরের শায়েস্তানগরস্থ বিএনপির কার্যালয়ে হবিগঞ্জ জেলা শ্রমিকদলের কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সমাবেশে জি কে গউছ বলেন- বাংলাদেশের ছাত্ররা চাকুরীতে কোটা সংস্কারের দাবীতে আন্দোলন শুরু করেছিল। কিন্তু ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বল প্রয়োগ করে এই আন্দোলন থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে। নির্বিচারে গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে। এক পর্যায়ে শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলন ডাক আসলো। আমরা শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়েছিলাম। এই আন্দোলনে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৪২২ জন নেতাকর্মীরা শহীদ হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন- দেশের প্রত্যকটি জায়গায় শেখ হাসিনা তার দলীয় লোকজন বসিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। আইনের শাসনকে কবর দিয়ে দেশটাকে জেলে পরিণত করেছিল। জনগণের ভোটের অধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি গত ১৭টি বছর ধরে আন্দোলন করছে। বিএনপির আন্দোলন এখনও শেষ হয়ে যায়নি। জনগণের ভোটে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন চলবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশ নায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আমরা কেউ ঘরে ফিরে যাবো না।
জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম ইসলাম তরফতার তনু’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস এম বজলুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন শ্রমিকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মেহেদী আলী খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা হামিদা খাতুন। বক্তব্য রাখেন জেলা শ্রমিকদলের সহ-সভাপতি ময়না মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রশিদ আনসারী রতন, সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক, সাংগঠনিক সম্পাদক কুতুব উদ্দিন ভান্ডারী, শ্রমিকদল নেতা আব্দুল কাইয়ুম, তুহিন খান, শফিকুল ইসলাম, ইনিঞ্জনিয়ার করিম সরকার, সানাউল হক চৌধুরী সানু, মাসুক মিয়া, মুর্শেদ আহমেদ, সাজিদুর রহমান সাজু, রাসেল ঠাকুর, লিটন মিয়া, আক্তার মিয়া, জাহাঙ্গীর মিয়া প্রমূখ।