হত্যাকান্ডের ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সিলেট মহানগরের ছড়ারপারে কিশোর মোঃ আলী নিশা (১৭) হত্যার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা আলী হত্যাকান্ডে দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। পরে গ্রেফতারকৃত ৪ জনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। আদালতে গ্রেফতারকৃতরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়েছে বলে জানান সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। গ্রেফতারকৃতরা হলো- সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার জামলাবাজ গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে ফরহাদ মিয়া (২০), কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার মজলিশপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে নূরুন্নবী নুনু (১৯) ও একই থানার নোয়াহাটা গ্রামের নুর জামাল মিয়ার ছেলে রাহিম আহমদ (১৯) এবং বানিয়াচং থানার বগি গ্রামের জাকারিয়া মিয়ার ছেলে সাকিব আহমদ (১৯)। তারা সবাই বর্তমানে ছড়ারপারের বিভিন্ন কলোনিতে বসবাস করে। এদের মধ্যে ফরহাদ মামলার মূল আসামি। শনিবার রাত ১১ টার দিকে বানিয়াচং উপজেলার দত্তগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন এসএমপি’র মিডিয়া অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। খুন হওয়া মোঃ আলী নিশা কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুরের নূর আলীর ছেলে। পরিবারের সঙ্গে সে সিলেট মহানগরের ছড়ারপাড়ের একটি কলোনিতে বসবাস করতো। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জন্মদিনের কেক কাটার কথা বলে তিন বন্ধু মোঃ আলীকে চালিবন্দরের পার্শ্ববর্তী মাছিমপুর ডেকে নেয়। সেখানে যাওয়ার পর তার উপর ওই ৩ বন্ধুসহ আরও কয়েকজন মিলে হামলা চালায়। এসময় মোঃ আলী দৌঁড়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করে। চালিবন্দর ভৈরব মন্দির সংলগ্ন এলাকায় আসার পর সে পড়ে গেলে তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সূত্র জানায়, মহানগরের ছড়ারপাড় ও কামালগড় এলাকার দুটি কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। ওই দ্বন্দ্বের জের ধরে খুন হয় আলী। ঘটনার পরদিন আলীর মা সফিনা খাতুন বাদি হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে সিলেট কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এসএমপি’র মিডিয়া অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারের পর প্রধান আসামি ফরহাদের দেওয়া তথ্যমতে চালিবন্দরস্থ একটি গ্যারেজের পিছনে ময়লা ফেলার স্থান হতে হত্যাকা-ে ব্যবহৃত ধারালো চাকু উদ্ধার করে পুলিশ। অন্য আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।