স্টাফ রিপোর্টার ॥ শীঘ্রই ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজ শুরু হবে ১৫নং পৈলারকান্দি ইউনিয়নের কুমড়ি-দুর্গাপুর-নজরপুরের ফিরিঙ্গীটিলা ব্রীজের নির্মাণ কাজ। ব্রীজটি নির্মাণ হলে দীর্ঘ দিনের দুর্ভোগ লাঘব হবে এলাকাবাসীর।
জানা যায়, প্রায় অর্ধশত বছর আগে তৈরি হওয়া কুমড়িবাজার সংলগ্ন ব্রীজটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বানিয়াচং উপজেলা ও কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার মধ্যে সংযোগ ঘটানো এই ব্রীজের এপাড়ে দুর্গাপুর-কুমড়ি-নজরপুর বাজার এবং ওপাড়ে কদমচাল-ফিরিঙ্গীটিলা-মনোহরপুর গ্রাম। স্বাধীনতা পরবর্তী কয়েক দশক ধরে নদীর এপাড়-ওপাড় মিলিয়ে এই এলাকার হাজার হাজার মানুষের হাট বাজার, যোগাযোগ ও নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে ব্রীজটি আশীর্বাদস্বরূপ। বর্ষাকালে নদী পারাপারে একমাত্র ভরসা এই ব্রীজ। কিন্তু বর্তমানে এর অবস্থা শোচনীয় হওয়ায় যোগাযোগে অনেকটাই ভাটা পড়েছে দুই উপজেলাবাসীর। বর্তমানে ব্রীজটি চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে ওই ব্রিজের ওপর দিয়ে প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন পথচারীরা। যে কোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
স্থানীয়রা জানান, এই জায়গাটিতে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন, তবুও সুফল পাননি। অদ্যাবধি পর্যন্ত আশার আলো দেখেনি এই অঞ্চলের মানুষ। তাই যুগের পর যুগ ধরে বাধ্য হয়েই ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে মানুষজনকে নদী পারাপার হতে হচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি, ভাঙাচোরা ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজটি অপসারণ করে ওই স্থানে নতুন করে ব্রীজ নির্মাণের।
এই বিষয়ে হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল জানান, এই ব্রীজটি নির্মাণ ছিল আমার নির্বাচনী ওয়াদা। এমপি হিসেবে আমার নির্বাচনী এলাকায় প্রথম বরাদ্দ ২৫ কোটি টাকা থেকে ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ব্রিজটি নির্মাণে। আশা করছি অচিরেই দুই উপজেলাবাসীর যোগাযোগের নতুন দিগন্ত উন্মোচন হবে। স্বপ্ন পুরণ হবে তাদের। আমি আমার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।