চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাটে যৌতুকের দাবীতে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মারপিট মামলায় স্বামী সুলতান হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে চুনারুঘাট থানার এসআই ছদরুল আমিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের ডেওয়াতলী গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার চুনারুঘাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন এবং যৌতুক মামলা দায়ের করেন নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ রিমা আক্তার। গতকাল শনিবার দুপুরে সুলতান হোসেনকে পুলিশ আদালতে সোপর্দ করে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, চুনারুঘাট উপজেলার দ্বি-মাগুরুন্ডা গ্রামের মোঃ আলফু মিয়ার মেয়ে রিমা আক্তারের সাথে একই উপেজেলার শানখলা ইউনিয়নের ডেওয়াতলী গ্রামের নবির হোসেন সানুর ছেলে সুলতান হোসেনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের মাস তিনেক যেতে না যেতেই রিমার উপর শুরু হয় যৌতুকলোভী স্বামী ও তার পরিবারের নির্যাতন। তাদের বিয়ের ৪ মাস পর সুলতান ফের বিয়ে করে বাড়িতে নতুন বউ নিয়ে আসে। সে দ্বিতীয় বিয়ে করার পর নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বাড়তে থাকে। এতোদিন শুধু সুলতানসহ তার পরিবারের লোকজন নির্যাতন করতো। কিন্তু সে দ্বিতীয় বিয়ে করার পর তার বউকে নিয়ে রিমার উপর নির্যাতন শুরু করে। সর্বশেষ গত ৩ এপ্রিল বাড়ির একটি রুমে রিমাকে নির্যাতন করে স্বামী সুলতান ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী। স্বামীসহ শ^শুর বাড়ির লোকজনের নির্যাতন সইতে না পেরে প্রাণে বাঁচার জন্য রিমা ৯৯৯ নম্বরে কল করে চুনারুঘাট থানায়। পরে থানার এসআই ছদরুল আমিন ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় রিমাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। পরে রিমাকে তার চাচার জিম্মায় দেয়া হয়। পরবর্তীতে রিমার শারীরিক অবস্থার অবণতি হওয়ায় পরিবারের লোকজন তাকে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
চুনারুঘাট থানার এসআই ছদরুল আমিন গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, যৌতুকের মামলায় আসামী সুলতানকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছি।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com