স্টাফ রিপোর্টার ॥ চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা ইউনিয়নের বড়কোটা গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ৫ পরিবারকে সমাজচ্যুত করার বিষয়টি একমাসেও সমাধান হয়নি। সালিশ বিচারের নামে উল্টো সময় ক্ষেপণ করা হচ্ছে। ফলে এখনও পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে পরিবারগুলো। এদিকে সমাজচ্যুত হওয়া পরিবারগুলোর পক্ষে চুনারুঘাটের ইউএনও বরাবর অভিযোগ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, সমাজচ্যুত করার কারণে ওই পরিবারগুলোর সদস্যরা রাস্তাঘাটে বের হতে গেলে নানাভাবে অপমানিত হচ্ছেন। ধানকাটা, টিউবওয়েলে পানি সংগ্রহ করা, গোসল করাসহ ওই পরিবারের অনেক শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসা যাওয়া করতে নানা প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছেন। কোনো শ্রমিক না পাওয়ায় জমিতে পাকা ফসল বিনষ্ট হচ্ছে।
অভিযোগে জানা যায়, ওই গ্রামের আলমগীর মিয়া ওরফে এখলাছের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে একই গ্রামের তাজ উদ্দিন ও আমির মিয়ার। এ নিয়ে মামলা মোকদ্দমা রয়েছে। বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে একাধিকবার সালিশ হয়। কিন্তু সমাধান না হওয়ায় গ্রামের মাতব্বর পঞ্চায়েত প্রধান ভিংরাজ মিয়ার সভাপতিত্বে কবির মিয়া, মরতুজ আলী, সফিক মিয়া, উস্তার মিয়া, জুয়েল মিয়া, তোফায়েল, কাদির মিয়া, মানিক মিয়া, আওয়াল হাজী, ওয়াহিদ মিয়ার উপস্থিতিতে সম্প্রতি সালিশ বিচার হয়। সালিশ বিচারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সভাপতি ভিংরাজ মিয়া তাদেরকে সমাজচ্যুত করেন।
এ বিষয় মোঃ ছালেক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি তদন্তের জন্য এসিল্যান্ডকে দায়িত্ব প্রদান করেন। এ বিষয়ে এসিল্যান্ড জানান, তদন্ত শেষ পর্যায়ে। আজকালের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়া হবে।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com