নুর উদ্দিন সুমন ॥ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হলো বাহুবলের মিরপুর সানশাইন মডেল হাইস্কুলে পিঠা উৎসব। বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সাথে মিশে আছে পিঠা-পুলি। শুধু খাবার হিসেবেই নয় বরং লোকজ ঐতিহ্য এবং নারীসমাজের শিল্প নৈপুণ্যের স্মারক রূপেও পিঠা বিবেচিত হয়। প্রতি শীতেই গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠা উৎসব। গ্রামীণ ঐতিহ্য ও নতুন প্রজন্মের কাছে হরেক রকমের পিঠার পরিচয় তুলে ধরতে বাহুবল উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সানশাইন স্কুল মডেল স্কুলে অনুষ্ঠিত হলো পিঠা উৎসব। যখনই শীতের আমেজ আসে তখনি পিঠা-পুলি, পায়েস কিংবা নাড়ুর কথা আমাদের মনে ভেসে ওঠে।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী এই পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন হবিগঞ্জ-১ (বাহুবল-নবীগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এমএ মুনিম চৌধুরী বাবু। এ সময় তিনি স্টলে স্টলে গিয়ে প্রতিটি পিঠার স্বাদ উপভোগ করেন। সানশাইন মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: নাছির উদ্দিনের সঞ্চালনায় ও স্কুলের পরিচালক এম সামছুদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে হরেক রকম পিঠা দেখে মুগ্ধ হন অতিথিরা।
স্টলে স্টলে সারি সারি পিঠার মনোমুগ্ধকর প্রদর্শন। কেউ বানিয়েছেন নবাবি সেমাই, কেউ বানিয়েছেন দুধচিতুই, সেমাই পিঠা, ভাপা পুলি পিঠা, গোলাপ পিঠা, আতাফল সন্দেশ, ঝাল কদম, দুধের সন্দেশ, ডালের পিঠা, ফুল পিঠা, বাহারি গোলাপ, বউপিঠা, জামাই পিঠা, পুলি পিঠা ও চন্দ্র পুলি, চিকেন ঝাল পিঠা, কাবাবী সেমাই, পাকন পিঠা, ঝিনুক পিঠা, পাটিসাপটাসহ নানা নামের ও বিভিন্ন রংয়ের শত রকমের মুখরোচক পিঠা স্থান পায় স্টলগুলোতে। ভোজন রসিকরাও এসে পিঠা খেয়ে নানা প্রশংসা করছেন। আর আয়োজকরা বলছেন প্রতি বছরই এমন আয়োজন থাকবে নতুন প্রজন্মের কাছে পিঠা পুলির পরিচিতির জন্য।
পিঠা উৎসব উপভোগ করতে আসা শিক্ষার্থী শৈলী দেব সেতা বলেন, বিদেশী অনেক খাবার আমাদের দেশে জায়গা করে নিয়েছে। যার ফলে মায়েদের হাতের অনেক পিঠা বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে। প্রতিবছর পিঠা উসবের আয়োজন করা হলে নতুন প্রজন্ম দেশি পিঠায় পরিচিত হতে পারবে। শিক্ষার্থী পুষ্পিতা রাণী দেব বলেন, পিঠা শুধু খাবার নয়, এর সাথে জড়িয়ে আছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য। এই উৎসবের মধ্য দিয়ে বাঙালি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়ুক সবার প্রাণে।