এসএম সুরুজ আলী ॥ হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা ব্যাপক প্রচার প্রচারণা শুরু করেছেন। প্রার্থীদের প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে পুরো নির্বাচনী এলাকা। এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে অনেকেই শক্তিশালী প্রার্থী বলে মন্তব্য করেন। আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করার পর প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে পুরো নির্বাচনী এলাকা। চা বাগান অধ্যুষিত এ আসনটিতে ৫ লাখ ১২ হাজার ৩০৮ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৪ ও মহিলা ভোটার ২ লাখ ৫৪ হাজার ৪২৩ জন। তন্মধ্যে শুধু চা বাগানেই ভোট রয়েছে ৭০ হাজারের উপরে। স্বাধীনতার পর প্রায় প্রতিটি নির্বাচনেই আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এবার এ আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাকের পার্টিসহ স্বতন্ত্র ১০ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী এমপি। তার সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত মুখ ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। অনেকেই ব্যারিস্টার সুমনকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে একজন শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে মন্তব্য করেন।
মাধবপুর বাজারের ব্যবসায়ী রাজু রায় জানান, এবারের নির্বাচনে আমরা সৎ, যোগ্য ও ভালো মানুষকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে চাই। যারা আমাদের কল্যাণে কাজ করবেন। এ দিকে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচারণায় আচারণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। তিনি বলেন- প্রতিদিনই গণসংযোগে যাচ্ছি এবং হাজার হাজার মানুষের সমর্থন পাচ্ছি। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর যারা মনোনয়ন দাখিল করে প্রার্থী হয়েছেন মন্ত্রী-এমপি যারাই হোক সবাই সমান। কিন্তু আমি যার সাথে নির্বাচন করছি, আমি দেখেছি, পুলিশের প্রটোকল নিয়ে প্রচারণা যাচ্ছেন তিনি। অথচ আমি যাচ্ছি সাধারণ মানুষ নিয়ে। এটি একটি বাঁধা। নির্বাচন কমিশনের এটি দেখা উচিত। লেভেন প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী করতে হবে। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন- তফসিল ঘোষণার পর থেকে আমি নির্বাচনের আচারণবিধি মেনে চলছি। এমনকি আমি প্রতিমন্ত্রীর যে গাড়ীটি সেটিও ব্যবহার করছি না। প্রাইভেট আরেকটি গাড়ী নিয়ে চলাচল করছি। তিনি বলেন- আমি আশা করছি, প্রতিবারের ন্যায় চুনারুঘাট-মাধবপুরবাসী আবারও বিপুল ভোটে নৌকাকে বিজয়ী করবেন।
জেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইদুর রহমান বলেন- যে কোন প্রার্থী আচারণবিধি লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।