ডেস্ক রিপোর্ট ॥ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতে সাড়ে ৭ লাখ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৪৭ হাজার সদস্য মাঠে নামবেন নির্বাচনের ১০ দিন আগেই। সোমবার ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিজিবি সবার আগে মাঠে নামবে। ভোটের পরে দুই দিন, ভোটের দিন এবং ভোটের আগে ১০ দিন, মোট ১৩ দিনের জন্য এই বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকবেন। তবে প্রয়োজন হলে আরও বেশি দিন তাদের রাখা হতে পারে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বলতে পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), আনসার বাহিনী, ব্যাটালিয়ন আনসার, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও কোস্টগার্ডকে বোঝায়। আর সশস্ত্র বাহিনী বলতে নৌ-বাহিনী, বিমান বাহিনী ও সেনা বাহিনীকে বোঝায়। গতবারের মতো এবারও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি মোতায়েন করা হতে পারে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদেরও। ইতোমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো তাদের লোকবল ও চাহিদার কথা জানিয়েছে ইসিকে। আর সশস্ত্র বাহিনীর মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হলে সেই সময় তারা তাদের ছক ও চাহিদা জানাবে।
জানা যায়, আনসার মোতায়েন থাকবে ভোটের আগের পরে মোট ৬ দিন। আর পুলিশ মোতায়েন থাকবে ৫ দিন। অন্যান্য বাহিনীও একই সময়ের জন্য নিয়োজিত হতে পারে। তবে সশস্ত্র বাহিনীকে ভোটের দায়িত্ব দিলে আরও বেশি দিনের জন্য মোতায়েন করা হতে পারে।
সংসদ নির্বাচনের জন্য এবার সাড়ে ৭ লাখ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। এক্ষেত্রে আনসারের ৫ লাখ ১৬ হাজার সদস্য, কোস্টগার্ডের ২ হাজার ৩৫০ জন, বিজিবির ৪৬ হাজার ৮৭৬ সদস্য, র‌্যাবসহ থাকবে এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ জন। অর্থাৎ ৭ লাখ ৪৭ হাজার ৩২২ জন সদস্য ভোটের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৭ জানুয়ারি। এবার ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন।