প্রায় দুই ঘন্টা হবিগঞ্জ-সুজাতপুর সড়কের নকলারআব্দা ছিল রণক্ষেত্র ॥ টেটাবিদ্ধসহ ৩০ জন আহত ॥ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরতলীর আলম বাজারে টমটম ভাংচুরকে কেন্দ্র করে কয়েকটি গ্রামবাসীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে টেটাবিদ্ধসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ আড়ইশ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে দুই ঘন্টাব্যাপী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, শহরতলীর আলম বাজারে টমটম স্ট্যান্ড নিয়ে বানিয়াচং উপজেলার নয়াপাথারিয়া, হিয়ালা, মক্রমপুর, নিশ্চিন্তপুর, টুপিয়াজুড়ী গ্রামবাসীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। সোমবার বিকেলে স্ট্যান্ড এলাকায় টুপিয়াজুড়ী গ্রামের দ্ইু টমটম চালকের মধ্যে ঝগড়া হয়। টমটম চালকরা ঝগড়া করায় তাদেরকে স্ট্যান্ড ম্যানেজার আশিক মিয়া স্ট্যান্ড থেকে বহিস্কার করেন। এ সময় আশিক মিয়ার সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আশিক মিয়ার পক্ষ থেকে তার লোকজন ওই চালকদের মারধোর করে এবং তাদের টমটম ভাংচুর করে বলে এলাকায় খবর ছড়িয়ে দেয় টমটম চালকরা। এ খবরে চালকদের পক্ষ থেকে টুপিয়াজুড়ী, হিয়ালা, মক্রমপুর গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাথারিয়া গ্রামের দিকে ছুটে গেলে পাথারিয়া গ্রামবাসীও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের প্রতিহত করার জন্য যান। এ সময় হবিগঞ্জ-সুজাতপুর সড়কের নকলার আব্দা এলাকায় শুরু হয় সংঘর্ষ। সংঘর্ষে পাথারিয়া গ্রামের পক্ষে পুরান পাথারিয়া, আনোয়ারপুরসহ আশপাশের গ্রামগুলো অংশ নেয়। খবর পেয়ে বানিয়াচং থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুই ঘন্টাব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে টেটাবিদ্ধ অবস্থায় হাফিজ, শাকিল, ফজল মিয়া, রইছ মিয়া, আল আমিন, আরিফ মিয়া, সাইফুল ইসলাম, আপিল উদ্দিন, মিন্টন, জীবন, এমরান, মাসুদ, আব্দুল করিম ও তাইদুল ইসলামকে হবিগঞ্জ আড়ইশ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আশংকাজনক অবস্থায় আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) পলাশ রঞ্জন দে জানান, ‘টমটম ভাংচুরকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে’।