সুমন আহমেদ বিজয় ॥ লাখাইয়ে স্কুলে ৯ম শ্রেণীর এক ছাত্রীর ঠোঁটে চুমু খেয়েছেন সোহেল রানা নামে এক সহকারী শিক্ষক। অভিযুক্ত সেই শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার লাখাই উপজেলার বেগুনাই মাদনা এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। শ্লীলতাহানির শিকার স্কুলছাত্রী বিষয়টি তার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জানিয়েছেন। মেয়েটি প্রধান শিক্ষকের কাছে বলে, ‘পরীক্ষা শেষে আমি ভাবছি শিটের জন্য স্যার ডাকছে, আমি গেলাম স্যার বলছে দরজার চিপায় দাঁড়াও, দাঁড়ানো থাকা মাত্রই স্যার এসেই আমাকে জড়িয়ে ধরে আমার ঠোঁটে কিস করেছে এবং আমাকে জড়িয়ে ধরে শ্লীলতাহানি করেছে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার লাখাই উপজেলার বেগুনাই মাদনা এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সোহেল রানা ৯ম শ্রেণির ছাত্রীকে জোরপূর্বক জড়িয়ে ধরে শ্লীলতাহানি করেন এবং বুধবার বিষয়টি জানাজানি হয়।
বেগুনাই মাদনা এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সোহেল রানা গ্রেফতার হওয়ার আগ-মুহূর্তে জানান, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। আমি এ বিষয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। আমি এ বিষয়ে আপনাদেরকে নিয়ে কিছু দিনের মধ্যেই সাংবাদিক সম্মেলন করব।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রতাপ চন্দ্র বৈষ্ণব জানান বিষয়টি শুনেছি, তবে ঘটনাটি সত্য মিথ্যা এই মুহূর্তে বলতে পারতেছিনা, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, ইউএনও মহোদয়কে বিষয়টি অবগত করেছি।
লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা জানান- আমি এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছি এবং সন্ধ্যায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রতাপ চন্দ্র বৈষ্ণব এ বিষয়টি আমাকে অবগত করেছেন। আমি ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করব, তদন্ত কমিটির রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
লাখাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ নুনু মিয়া জানান, এ বিষয়ে ৯ম শ্রেণীর ছাত্রীর বড় ভাই রনি বাদী হয়ে লাখাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রেক্ষিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এফআইআর গন্যে মামলা রুজু করা হয়েছে এবং আসামী সোহেল রানাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।