স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরের দি জাপান হসপিটালে ডাক্তারের অপচিকিৎসায় মারা যাওয়ার অভিযোগে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রহিমা খাতুন (৫৫) এর মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মঈন খান এলিসের উপস্থিতিতে এসআই আজাদসহ একদল পুলিশ বড় বহুলা গ্রামের কবরস্থান থেকে ডোম মিজানের সহায়তায় লাশ উত্তোলন করেন। দুপুরের দিকে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের জিম্মায় লাশ হস্তান্তর করলে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী পুনরায় রহিমার লাশ দাফন করা হয়। মৃত নারী রহিমা বহুলা গ্রামের মৃত নুর আলীর স্ত্রী।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, পেটের টিউমার নিয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে গিয়েছিলেন রহিমা খাতুন। পরে দালালের মাধ্যমে তাকে নতুন বাস টার্মিনাল এলাকায় দি জাপান-বাংলাদেশ হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেদিন রাতে ডাঃ এস কে ঘোষ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই নারীর পেট থেকে টিউমার অপসারণ করেন। সেখানে তিনদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৩ সেপ্টেম্বর তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। বাড়িতে নিয়ে যাবার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হয়। অপারেশনের স্থান দিয়ে রক্তক্ষরণ হতে থাকে। একপর্যায়ে তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। ধরা পড়ে জরায়ূর রগ কেটে ফেলা হয়েছে তার। তাছাড়া তার দুটি টিউমারের বদলে একটি টিউমার অপারেশন করা হয়েছে। আরেকটি রয়ে গেছে। এমনকি তার একটি কিডনিও পাওয়া যায়নি। এক পর্যায়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের পর রহিমা গত ১৫ অক্টোবর বিকালের দিকে মারা যান।
এ ঘটনায় রহিমার চাচাতো ভাই রহমত আলী বাদি হয়ে দি জাপান হাসপাতালের পরিচালক এ কে আরিফুল ইসলাম, কর্মরত গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাঃ এস কে ঘোষ এবং এ কে আরিফুল ইসলামের ভাই তাবির হোসেন ও ম্যানেজার সিদ্দিকুর রহমান জনি আহমেদকে আসামি করে মামলা করেন। পরে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে লাশটি উত্তোলন করা হয়।