দুর্গাপূজার চাঁদা চাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধের সৃষ্টি
স্টাফ রিপোর্টার ॥ আজমিরীগঞ্জে দুর্গাপূজার চাঁদা চাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক বাবলু রায়ের নেতৃত্বে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মন্জু কান্তি রায়কে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ১১টায় আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স সংলগ্ন মন্জু কান্তি রায়ের মালিকানাধীন সার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এই ঘটনা ঘটে। তবে বিষয়টি নিয়ে দু’জনেই একে অপরকে দোষারোপ করছেন।
উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক বাবলু রায়ের দাবি এলাকার মুরুব্বিরা সার্বজনীন দুর্গা পূজার চাঁদা চাইতে গেলে মন্জু কান্তি রায় তাদের সাথে অসদাচরণ করেন। বিষয়টি জিজ্ঞেস করতে গেলে তিনি পুনরায় অসদাচরণ করেন। এনিয়ে কথাকাটি হয়েছে আর কিছুই নয়।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মন্জু কান্তি রায় বলেন, চাঁদা না দেয়ায় তারা আমার দোকানে অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাকে মারধোর সহ লাঞ্ছিত করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় বাবলু রায়ের গ্রামের (সদর ইউনিয়নের বিরাট উজানপাড়া) পূজা উদযাপন কমিটির কয়েকজন সদস্য বাজারের ব্যবসায়ি মন্জু কান্তি রায়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পূজার চাঁদার জন্য যান। এ সময় মন্জু কান্তি রায় চাঁদা পরে দিবেন বলে জানালে এ নিয়ে তাদের মধ্য বাকবিতন্ডা বাঁধে।
শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে যুবলীগের আহবায়ক বাবলু রায় ও অসীম রায়ের নেতৃত্বে ৩০/৪০ জন লোক মন্জু কান্তি রায়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যায়। এ সময় চাঁদার বিষয়টি নিয়ে পুনরায় তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা বাঁধে। এ সময় বাবলু রায় ও অসীম রায়ের নেতৃত্বে মন্জু কান্তি রায়কে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও লাঞ্ছিত করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মন্জু কান্তি রায় জানান, বৃহস্পতিবার কয়েকজন পূজার চাঁদার জন্য আমার দোকানে আসেন। আমি চাঁদা পরে দিবো বললে তারা বাকবিতন্ডা বাঁধায়। শুক্রবার সকালে বাবলু ও অসীম রায়ের নেতৃত্বে ৩০/৪০ জন আমার দোকানে প্রবেশ করে আমাকে গালমন্দ ও লাঞ্ছিত করেন। আমি এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
যুবলীগের আহবায়ক বাবলু রায় বলেন, বৃহস্পতিবার মন্জু কান্তি রায়ের দোকানে আমাদের পাড়ার কয়েকজন মুরুব্বী পূজার চাঁদার জন্য যান। উনি তাদের সাথে অসদাচরণ করেন। শুক্রবার সকালে বিষয়টি উনাকে জিজ্ঞেস করতে গেলে তিনি পুনরায় আমাদের সাথে অসদাচরণ করেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে, আর কিছু নয়।
আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমেদ বলেন, পূজার চাঁদা নিয়ে দুজনের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। তবে বিষয়টি নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মন্জু কান্তি রায়।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com