শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) অনুষ্ঠিত ৪র্থ সাস্ট অ্যাস্ট্রকার্নিভালে ৫০টির অধিক দলের মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় স্থান অধিকারসহ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে দেশের অন্যতম শীর্ষ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি। শাবিপ্রবির ক্যাম সাস্ট এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। বুয়েট শাবিপ্রবিসহ দেশের বেশ কয়েকটি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দল এতে অংশ নেন। তন্মধ্যে ওয়াটার রকেট ক্যাটাগরিতে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা দলগত সবকটি পুরস্কার জিতে নেয়।
মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ দপ্তর জানায়, এ প্রতিযোগিতায় কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী প্রিতম পাল ও জারিন আলমের দল ‘বঙ্গদর্শন’ চ্যাম্পিয়ন, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নাজিফা ইসলাম নওরীন এর দল ‘এন টু ও’ ২য়, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উর্মিলা মজুমদার, সামছুন্নাহার জিছা, জুনায়েদ সরকার শাওন এর দল ‘একশন অ্যাস্ট্রোলজি’ ৩য় এবং পৃথিলা দাস এর দল ‘অ্যাস্ট্রো পাইওনিয়ার’ ৪র্থ এবং ‘ফিনিক্স’ থেকে নূর এ জান্নাত শুচি, খাতুন এ জান্নাত শশী এবং আবিদ শাহরিয়ার যারা ৬ষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে। এছাড়া মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি থেকে অ্যাস্ট্রো অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করে সাদিয়া আহমেদ, দেওয়ান ইরাম হাসান, তৌফিক আহমেদ জয়ের দল ‘এন্ড্রোমিডা’ এবং জয়ন্ত শেখর গুপ্ত জয়, সুলতান আল ইসলাম, বর্ষা এবং জয়ের দল ‘মেটারোয়িক মার্ভেলস।
গত ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার ক্যাম সাস্ট সংগঠনের আয়োজনে সাস্ট এস্ট্রো কার্নিভালের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. কবির হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. নাজিয়া চৌধুরী।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিজয়ী শিক্ষার্থীরা মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক এর কার্যালয়ে সাক্ষাত করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান মোঃ মাহফুজুল হাসান, প্রফেসর চৌধুরী মোকাম্মেল ওয়াহিদ, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর নওশাদ আহমেদ চোধুরী, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রোনিক বিভাগের লেকচারার আনোয়ারুল কাওছার, প্রমূখ। বিজয়ী শিক্ষার্থীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, “এই পারফরম্যান্স প্রতিভা ও একাডেমিক উৎকর্ষ লালন করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীকারকে স্বীকৃতি প্রদান করে। মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি সাফল্য এবং একাডেমিক কৃতিত্বের একটি আলোকবর্তিকা হয়ে চলেছে। আমাদের প্রতিষ্ঠান শ্রেষ্ঠত্বের সংস্কৃতিকে লালন করে যা এর শিক্ষার্থীদের কেবল শ্রেণিকক্ষে নয়, বৈশ্বিক পর্যায়েও শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে সক্ষম করেছে।”
মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী এবং ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর চৌধুরী বিজয়ী শিক্ষার্থীদের উষ্ণ অভিনন্দন জানান তাদের অসামান্য পারফরম্যান্সের জন্য। এক বার্তায় তাঁরা বলেন, “মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি একাডেমিক উৎকর্ষ লালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা উচ্চশিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের শিক্ষার্থীরা যেভাবে প্রতিষ্ঠানের নাম উজ্জ্বল করছে তাতে আমরা গর্বিত। তাদের এই অর্জন নতুনদের অনুপ্রাণিত করবে।”
মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি উচ্চশিক্ষার একটি নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান যা একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্ব, গবেষণা এবং উদ্ভাবনের প্রতিশ্রুতির জন্য পরিচিত। প্রাকৃতিক নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ঘেরা মনোরম পরিবেশ ও সুযোগসুবিধার মধ্যে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি তার শিক্ষার্থীদের একটি দ্রুত বিকশিত বিশ্বে খাপ খাওয়াতে এবং সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com