স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাহুবল উপজেলার কুমেদপুর গ্রামের ওয়াহিদ মিয়া হত্যা মামলায় ¯œানঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফেরদৌস আলমসহ চারজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ২০১৮ সালের এ হত্যা মামলা তদন্ত করেছে তিনটি সরকারি সংস্থা।
চেয়ারম্যানসহ চার আসামী গত সোমবার হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসমা বেগমের আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেছিলেন। কিন্তু বিচারক আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। অন্য তিন আসামী হলেন পার্শ্ববর্তী স্বস্তিপুর গ্রামের সোহাগ মিয়া, জাকির হোসেন ও মোজাক্কির মিয়া।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সনের ১৮ আগস্ট বাহুবল উপজেলার কুমেদপুর গ্রামের মৃত আব্দুল্লাহ মিয়ার ছেলে ওয়াহিদ মিয়া (৪০) খুন হন। পরদিন নিহতের ভাই ফারুক মিয়া বাহুবল মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে ১৯ জনকে আসামী করা হয়েছিল।
কিছুদিন পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এজাহারভুক্ত চার আসামীকে বাদ দিয়ে ১৫ জনের নামে আদালতে অভিযুক্তপত্র দাখিল করলে বাদী এতে নারাজি দেন। এরপর আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তে নামে সিআইডি। এ সংস্থাটি বাদপড়া চারজনের মধ্যে দুইজন এবং ¯œানঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফেরদৌস আলমকে যুক্ত করে পুনরায় অভিযোগপত্র দেয়। এরপরও বাদীর নারাজির পরিপ্রেক্ষিতে হবিগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) মামলা তদন্তের আদেশ দেন আদালত। ডিবি পুলিশের দায়ের করা অভিযোগপত্রেও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফেরদৌসের নাম যুক্ত রয়েছে।
এ হত্যা মামলায় পুটিজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন তারা মিয়া এজাহারভুক্ত আসামী। তিনি বর্তমানে জামিনে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী।