স্টাফ রিপোর্টার ॥ চুনারুঘাটের চাঞ্চল্যকর কুদ্দুছ হত্যা মামলায় রানীগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি মেম্বার আব্দুল মালেক এবং উপজেলা কৃষকলীগ সহ-সভাপতি ইউপি মেম্বার আব্দুল হান্নান তালুকদার ওরফে ইয়াকুত মিয়া তালুকদারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কদ্দুছ মিয়া হত্যা মামলায় বৃহস্পতিবার আদালতে হাজিরা দিতে গেলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
চুনারুঘাট উপজেলার রানীগাঁও ইউনিয়নের আতিকপুর গ্রামের প্রবাসী আব্দুল কদ্দুছ (৩০) ২০১৮ সালে দেশে ফিরে এসে তার স্ত্রী মাফিয়া খাতুনের কাছে বিদেশ থেকে তার পাঠানো ১৫ লাখ টাকার হিসাব চাইলে এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এক পর্যায়ে কদ্দুছ মিয়ার স্ত্রী মাফিয়া খাতুন ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে স্বামী কদ্দুছ মিয়াকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলা আপোষ মীমাংসার কথা বলে রানীগাঁও ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেকসহ কয়েকজন ওই বছরের ৩ নভেম্বর রাতে আব্দুছ ছোবহান মিয়ার বাড়িতে একটি শালিস বৈঠকে বসেন। আব্দুল কদ্দুছ সালিশ বৈঠকে হাজির হলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সেখানে তাকে হত্যা করে লাশ একটি পেয়ারা গাছে ঝুলিয়ে রাখে ঘাতকরা। পরদিন চুনারুঘাট থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্ত শেষে আত্মীয় স্বজনের কাছে হস্তান্তর করে। এ নিয়ে নিহত কদ্দুছের ভাই হোসেন আলী বাদী হয়ে নিহত কদ্দুছের স্ত্রী মাফিয়া খাতুনসহ ৫ জনের নামে আদালতে মামলা দায়ের করেন। প্রথমে চুনারুঘাট থানা পুলিশ এ মামলার তদন্ত করে। পরবর্তীতে দীর্ঘ তদন্ত শেষে সিআইডি এ মামলার চার্জশীট প্রদান করে। চার্জশীটে নিহতের স্ত্রী মাফিয়া খাতুন, ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক, ইউপি সদস্য ইয়াকুত মিয়া তালুকদারসহ ৫ জনকে আসামী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার আসামী আব্দুল মালেক ও ইয়াকুত মিয়া তালুকদার হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে হাজিরা দিতে গেলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।