আমি আশাবাদী, আগামী ১১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দলীয় মনোনয়নের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে আমাকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হবে ॥ তনু
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি নেতা এম. ইসলাম তরফদার তনু গত ২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার হবিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এ সময় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা ড্যাবের সভাপতি ডাঃ আহমুদুর রহমান আবদালসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শেষে এম. ইসলাম তরফদার তনু নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমি বিগত ৩৭ বছর যাবৎ জাতীয়তাবাদী আদর্শকে সমুন্নত রেখে জেলা ছাত্রদলের ২ বার সভাপতি ও দুই বার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। এছাড়া জেলা শ্রমিকদলের ২ বারের নির্বাচিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি, জেলা বিএনপির ২ বারের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও বর্তমানে যুগ্ম আহ্বায়কের পদে আসীন হয়ে অদ্যাবধি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এসব দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমি একাধিকবার কারাবরণ ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটক হই। এছাড়া পুলিশ দ্বারা নির্যাতিত এবং শতাধিক মামলার আসামি হয়েছি। আমি বিগত ২০০৪ ও ২০০৯ সালের নির্বাচনে হবিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দলের মনোনয়ন প্রার্থী হই। প্রতিবারই দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে কাজ করি। বিগত ২০১৫ সালের পৌর নির্বাচনে আমি মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিলে বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তাঁর গুলশান কার্যালয়ে আমাকে ডেকে নিয়ে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে আমাকে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়ে বলেন, “আগামী নির্বাচনে মেয়র পদে তোমাকে মূল্যায়ন করা হবে।” নেত্রীর এই নির্দেশ মেনে নিয়ে আমি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করি এবং ধানের শীষের পক্ষে কাজ করি। চলমান পৌর নির্বাচনে কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয় যে, স্থানীয় পৌর বিএনপি সভা করে একক প্রার্থী নির্বাচিত করে পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ও প্রথম ২ জন যুগ্ম আহ্বায়ক সুপারিশ করে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও প্রথম যুগ্ম আহ্বায়কের সুপারিশসহ কেন্দ্রে আবেদন করতে হবে। কিন্তু আমার প্রার্থীতা নিশ্চিত জেনে এবং দলীয় মনোনয়ন পেলে আমি শতভাগ বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা দেখে পৌর বিএনপি’র কোনরূপ সভা না করে পৌর বিএনপির আহ্বায়ককে পাশ কাটিয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক ষড়যন্ত্র করে তাদের পছন্দনীয় ব্যক্তিকে সুপারিশ করে কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেন। এর ফলে দীর্ঘদিন রাজনীতি করেও তাদের ষড়যন্ত্রমূলক নীল নকশায় আমি এবারও দলীয় মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হই। উপরোক্ত বিষয়টি আমি দলীয় হাই কমান্ডের কাছে জানিয়ে দলীয় মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তন করে আমাকে প্রার্থী করার আবেদন করি। আমি আশাবাদী, আগামী ১১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দলীয় মনোনয়নের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে আমাকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।