স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সরকারি বৃন্দাবন কলেজের নারী শিক্ষকের নারী নির্যাতন মামলায় কুমিল্লা সরকারি কলেজের প্রভাষক সোহেল রানাকে (৩৫) কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক জিয়া উদ্দিন মাহমুদ তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, হবিগঞ্জ সরকারি বৃন্দাবন কলেজের ইতিহাস বিভাগের ৩৪তম বিসিএসের এক প্রভাষকের সাথে প্রেমের সম্পর্কের এক পর্যায়ে ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর তাকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন ৩১তম বিসিএসের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক সোহেল রানা। বিয়ের পর তাদের কোলজুড়ে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। তিন বছরের ওই শিশুর নাম রুনা আক্তার। কিছুদিন সুখে কাটলেও সোহেল রানা তার স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন, নিপীড়ন শুরু করেন। স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ওই নারী প্রভাষক হবিগঞ্জ শহরের রাজনগর এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। গত বছরের ২৪ জুলাই সোহেল রানা তার স্ত্রীর নিকট পুনরায় যৌতুক দাবি করেন। যৌতুক দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে স্ত্রীকে মারপিট করে সন্তানসহ তাড়িয়ে দেন সোহেল রানা। এক পর্যায়ে পিত্রালয়ে এসে নিরূপায় হয়ে তিনি গত ৩০ জুলাই আদালতে নারী নির্যাতন আইনে মামলা করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তক্রমে প্রতিবেদন দিতে পুলিশকে নির্দেশ দেন। প্রতিবেদন আসার পর আদালত সোহেল রানার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। গতকাল সোহেল রানা আদালতে হাজির হলে আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। সোহেল রানা কুমিল্লা জেলার মাদনা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের পুত্র। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ২৪ জুন তিনি বাদীনিকে এফিডেভিট করে তালাক দেন। বাদীনি প্রভাষক লাখাই উপজেলার ফুলবাড়িয়ার বাসিন্দা। বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট ইকবাল ভূইয়া। তিনি বলেন, আইনের উর্ধ্বে কেউ নন। বাদীনি ন্যায় বিচার পেয়েছেন।