স্টাফ রিপোর্টার ॥ বয়স মাত্র আড়াই বছর। এ বয়সে শিশুরা যখন মা-বাবা স্বজনদের কোলে চড়ে বড় উঠে ঠিক তখন বিছানায় শুয়ে যন্ত্রণায় ভুগছে তোহা। এ বয়সেই তার শরীরে বাসা বেঁধেছে মরণঘাতী লান্স ক্যান্সার। তোহা হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার বামৈ গ্রামের মাহমুদুর রহমানের কন্যা।
তোহার বয়স যখন মাত্র এক বছর তখন তার ফুসফুসে সমস্যা দেখা দেয়। প্রথম অবস্থায় হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর লান্স ক্যান্সার ধরা পড়ায় জীবন নিয়েই শঙ্কায় পড়ে তার পরিবার। এরপর আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকার পিজি হাসপাতালে। সেখানে বেশ কিছুদিন চিকিৎসা নেয়ার পরও কোনো উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন ভারতে নিয়ে যাওয়ার। চিকিৎসকরা জানান, তোহার এই চিকিৎসাটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল। কিন্তু দরিদ্র পিতা মাহমুদুর রহমানের পক্ষে সন্তানের চিকিৎসার জন্য এতো টাকা যোগাড় করা অসাধ্য হয়ে পড়ে। এরপরও নিরূপায় হয়ে আদরের সন্তানকে বাঁচাতে ভিটেমাটি বিক্রিসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে তোহাকে নিয়ে যান ভারতের চেন্নাইয়ের তামিলনাড়– প্রদেশের সিএমসি ভেল্যুতে। সেখানে বেশ কিছুদিন চিকিৎসা দেয়া হয়। প্রায় ৬ মাস চিকিৎসাকালীন সময়ের মাঝেই ব্যয় হয়ে যায় ১০ লাখ টাকা। কিন্তু এরপরও তোহা সুস্থ না হওয়ায় দরিদ্র মাহমুদুর পড়েন বিপাকে। এক পর্যায়ে তার পক্ষে এই ব্যয়বহুল চিকিৎসার অর্থের যোগান দেয়া সম্ভব না হওয়ায় তিনি এক প্রকার আশা ছেড়েই দিয়েছেন। তিনি তোহাকে ফেলে রেখে চলে যান। কিন্তু আদরের সন্তান বাঁচাতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তার মা নাসরিন আক্তার।
তোহার মা নাসরিন জানান, চেন্নাইয়ের নিউরোলজিস্ট মায়া তমাস ও বক্ষব্যধি ¯েœহা ভরর্কার বলেছেন আমার মেয়ের অসুস্থতা এখন যে পর্যায়ে রয়েছে তা থেকে ভালো হওয়া সম্ভব। ডাক্তার বলেছেন- বাংলাদেশে চিকিৎসাকালীন সময়ে বয়সের তুলনায় হাই ডোজ ওষুধ ব্যবহার করায় তার ব্রেইনে সমস্যা হয়েছে। বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে ভারতে। আগামি ১৫ ফেব্রুয়ারি তোহাকে নিয়ে চেন্নাইয়ে যাওয়ার তারিখ। কিন্তু তার স্বামীর পরিবারে এ পর্যন্ত যা ছিল বিক্রি করে সবার সহযোগিতায় এতোদিন চিকিৎসা করা হয়েছে। এখন দুই বেলা দুমুঠো পেট ভরে খেতেই পারেন না। এ ছাড়া হবিগঞ্জ শহরের ২নং পুল এলাকায় কোনো রকমে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছেন। এত টাকা তোহার পরিবারের পক্ষে কোনোভাবেই ম্যানেজ করা সম্ভব নয়। সমাজের বিত্তবানরা যদি সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন তবে ক্যান্সার আক্রান্ত তোহাকে বাঁচানো সম্ভব।
এ জন্য তিনি বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন। তার সাথে যোগাযোগের মাধ্যম : ০১৭৬১-৯০৫৯৮১, একাউন্ট নং-অগ্রণী ব্যাংক-হবিগঞ্জ শাখা, একাউন্ট নং-০২০০০০১২৫৫৪৩৮
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com