বিএনপির মেয়র প্রার্থী ছাবির চৌধুরীর মাসিক আয় ৮৮ হাজার টাকা ॥ তাঁর ব্যাংক ঋণ ৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা
মতিউর রহমান মুন্না, নবীগঞ্জ থেকে ॥ আগামীকাল ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নবীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন। নির্বাচনে সকল প্রার্থী হলফনামার মাধ্যমে নিজেদের আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে দাখিল করেছেন। হলফনামায় বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ¦ ছাবির আহমেদ চৌধুরী তাঁর আয়-ব্যয়ের যে হিসেব দেখিয়েছেন তাতে দেখা যায় তিনি মাসে ৮৮ হাজার ১০৪ টাকা আয় করেন।
হলফনামায়, বর্তমান মেয়র ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ছাবির চৌধুরী নিজেকে ব্যবসায়ী বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর ৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ রোডে মেসার্স চৌধুরী আটো রাইছমিল, নবীগঞ্জের বাউশা ইউনিয়নে শান্তিপুর এগ্রো ডেভেলপামেন্ট লিঃ ও সিলেট উপশহরে ভিলাক পারফিউমস্ লিঃ। এ তিনটি ব্যবসা থেকে ছাবির চৌধুরীর প্রতি বছর আয় হয় ৩ লাখ ৬২ হাজার ২৫০ টাকা। কৃষি খাতে আয় ৩৫ হাজার টাকা। পৌর মেয়র হিসেবে বার্ষিক সম্মানী ভাতা পান ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অর্থাৎ মেয়র হিসেবে তিনি মাসিক সম্মানী পান ৫৫ হাজার টাকা। মেয়রের সম্মানী ছাড়া নিজের ব্যবসা থেকে ছাবির চৌধুরীর মাসিক আয় হয় ৩৩ হাজার ১০৪ টাকা।
অস্থাবর সম্পদ হিসেবে ছাবির চৌধুরীর নগদ আছে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। স্ত্রীর আছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজের নামে জমা আছে ৫০ হাজার টাকা ও স্ত্রীর নামে আছে ২০ হাজার টাকা। নিজের নামে স্বর্ণ আছে ১ ভরি ও স্ত্রীর নামে আছে ১৫ ভরি এবং নির্ভরশীলের নামে আছে ৩ ভরি। নিজের নামে ২টি মোবাইল ফোন ছাড়া কোন ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী না থাকলেও স্ত্রীর নামে আছে- ১টি টিভি, ১টি ফ্রিজ, ২টি মোবাইল ফোন। আসবাবপত্র নিজের নামে আছে ১টি খাট, ১টি সোফা সেট, ১টি ডাইনিং টেবিল, ৮ টি চেয়ার। স্ত্রীর নামে আছে ১টি খাট, ১টি ড্রেসিং টেবিল ও ১টি আলমিরা।
স্থাবর সম্পদ হিসেবে কৃষি জমি নিজের নামে আছে ৬৫২ শতক, স্ত্রীর নামে ১৮২.৫০ শতক। অকৃষি নিজের নামে ১২৫০ শতক, স্ত্রীর নামে ১২৭ শতক।
তাঁর ব্যাংক ঋণ রয়েছে ৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। আইডিএলসি ফাইনান্স লিঃ হবিগঞ্জ শাখায় একক ঋণের পরিমাণ ৯৯ লাখ টাকা, এনসিসি ব্যাংক নবীগঞ্জ শাখায় ঋণ ৯০ লাখ টাকা। এ ছাড়াও কৃষি ব্যাংক নবীগঞ্জ শাখায় ছাবির চৌধুরীর ঋণের পরিমাণ ৫ কোটি টাকা। আলহাজ¦ ছাবির আহমেদ চৌধুরী নবীগঞ্জ পৌর এলাকার চরগাঁও গ্রামের মৃত মোঃ কবির মিয়া চৌধুরীর ছেলে।
হলফনামায় মামলা-মোকদ্দমার তথ্যও দিতে হয়। মামলার যে তথ্য দিয়েছেন তাতে দেখা যায়- তিনি ৩টি মামলার আসামী। এর মধ্যে ৩টি মামলাই বিচারাধীন। অতীতে আরো ৩টি মামলার আসামী ছিলেন। এর মধ্যে আইন শৃংখলা বিঘœকারী অপরাধ আইনের মামলায় খালাস পেয়েছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি মামলা অনুসন্ধানে প্রমাণিত না হওয়ায় কমিশনার কর্তৃক পরিসমাপ্ত, জিআর এক মামলায়ও অব্যাহতি পেয়েছেন মেয়র ছাবির চৌধুরী।