স্টাফ রিপোর্টার ॥ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭ ধারার মামলায় ১নং আসামী আয়েশা খাতুন ১০ জানুয়ারি রবিবার হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ হাজির হলে বিজ্ঞ আদালত আয়েশাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। গত ৬ জানুয়ারি ২নং আসামী হাজী নুরুল হক ভূইয়া আদালতে হাজির হলে বিজ্ঞ আদালত তাকে জামিন মঞ্জুর করেন।
জানা যায়, গত ২০১৭ সালের ১৪ মার্চ ইউপি চেয়ারম্যান হাজী নুরুল হক ভূইয়ার মিথ্যা প্রলোভনে আয়েশা খাতুন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হাজী খালেদুজ্জামানের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলা বিজ্ঞ আদালত ইউপি চেয়ারম্যান হাজী নুরুল ভূইয়াকে প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য দায়িত্ব দেন। দায়িত্ব পেয়ে তিনি হাজী খালেদুজ্জামানকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করেন। চেয়ারম্যানের এই প্রতিবেদনের কারণে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে হাজী খালেদুজ্জামানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পরবর্তীতে হাজী খালেদুজ্জামান উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন এবং দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে গত সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ তারিখ হাজী খালেদুজ্জামান বিজ্ঞ আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় বেকসুর খালাস পান।
এরপর হাজী খালেদুজ্জামান গত ডিসেম্বর মাসের ১৪ তারিখ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২-এ আয়েশাকে ১নং আসামী এবং ইউপি চেয়ারম্যান হাজী নুরুল হক ভূইয়াকে ২নং আসামী করে ক্ষতিপূরণ এবং মানহানীর মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় প্রথমে আয়েশা খাতুন এবং ইউপি চেয়ারম্যান হাজী নুরুল হক ভূইয়াকে সমন জারি করেন এবং গত ৬ জানুয়ারি হাজী নুরুল হক ভূইয়া হাজির হলে বিজ্ঞ আদালত জামিন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, ১নং আসামী আয়েশা খাতুনের সাথে হাজী খালেদুজ্জামানের বিবাহ বন্ধন হয়েছিল ১৯৮৮ সালে এবং উভয়ের বনিবনা না হওয়ার কারণে একই বছরে তাদের মধ্যে তালাক হয়। তালাকপ্রাপ্ত হয়ে আয়েশা হাজী খালেদুজ্জামানের বিরুদ্ধে তখনকার উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিনের কাছে বিচার প্রার্থী হলে নগদ ২৩ হাজার টাকা মোহরানা বাবদ পরিশোধের মাধ্যমে মিমাংসা হয়। পরবর্তীতে আয়েশা খাতুন বিভিন্ন আদালতে তিনটি মামলা দায়ের করেছিল এবং সবকয়টি মামলা খারিজ হয়। যা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার সকলে অবগত আছেন। বিশেষ করে ইউপি চেয়ারম্যান হাজী নুরুল হক ভূইয়া গত ১৯৯৫ সালে তালাকনামা গ্রহণ করে প্রাপ্তি স্বীকারোক্তিও দেন। কিন্তু গত কয়েক বছর যাবত হাজী নুরুল হক ভূইয়ার সাথে হাজী খালেদুজ্জামানের বিরোধিতার কারণে ইউপি চেয়ারম্যান হাজী নুরুল ভূইয়া উক্ত আয়েশাকে মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করেন। যার উদ্দেশ্য ছিল একমাত্র হাজী খালেদুজ্জামানকে হয়রানি করা।