অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোহাম্মদ সেলিম বললেন ঘাতকদের ধরতে অভিযান চলছে
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচঙ্গের বড়ইউড়ি গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হবিগঞ্জ সরকারি বৃন্দাবন কলেজের ছাত্র তানভির মিয়ার লাশ দাফন করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে তানভীরের লাশের ময়না তদন্ত শেষে পুলিশ পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে। পরে স্বজনরা লাশ বাড়িতে নিয়ে গেলে তানভীরকে শেষবারের দেখার জন্য লোকজন বাড়িতে ভিড় জমান। এ সময় লাশ দেখে তানভীরের মা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। বিকেলে পারিবারিক কবরস্থানে তানভীরের লাশ দাফন করা হয়। এর আগে দৈনিক হবিগঞ্জের মুখের এ প্রতিনিধিকে নিহত তানভীরের বাবা মমতাজ মিয়া জানান, ৩ বছর পূর্বে তিনি একটি জমি ক্রয় করেছিলেন। কিন্তু ওই জমিটি মোহাম্মদ আলী গং জোরপূর্বক দখলে নেয়ার চেষ্টা করে। এ নিয়ে তাদের সাথে বিরোধ শুরু হয়। তিনি বলেন- ওই জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে মোহাম্মদ আলী গং আমাদের উপর কয়েক দফা হামলা করেছে। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এর মধ্যে শনিবার সকালে মোহাম্মদ আলী গংদের সাথে আমাদের লোকজনের সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরস্থিতি শান্ত করে। পরবর্তীতে মোহাম্মদ আলী গং সন্ধ্যায় আমার ছেলে তানভিরকে একা পেয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। এদিকে তানভীর নিহতের খবর শনিবার সন্ধ্যায় ছড়িয়ে পড়লে প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়ি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) শেখ মোহাম্মদ সেলিম জানান, তানভীর হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে। তিনি বলেন- রবিবার রাতে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।