নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাট উপজেলার সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের দারাগাঁও গ্রামের পারকুল চা-বাগানের পার্শ্ববর্তী স্থান থেকে দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে দিবালোকে বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালী মহল। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ওই এলাকা। স্থানীয়রা জানান, প্রশাসনের অভিযানের পর পুনরায় বালু উত্তোলন শুরু করে চক্রটি। তাদের মধ্যে কাউছার ও সেলিমের নেতৃত্বে রমজান, রুস্তম, শামীম, মর্তুজ, ইমান আলী, আব্দুল ওয়াহিদসহ অনেকেই বালু উত্তোলনে জড়িত। তাদের ভয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে সাহস পায় না। তারা প্রভাবশালী। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসন কয়েক দফা অভিযান চালিয়ে ওই এলাকায় বালু উত্তোলনের সরঞ্জাম ধ্বংস করেছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারা রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে ধসে পড়ছে চা বাগান বাড়িঘর। গর্ত করা হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ ফুট পর্যন্ত। যা পরিবেশ আইনে নিষিদ্ধ। চক্রটি প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টি স্পটে প্রকাশ্যে দিবালোকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। অবৈধ বালু উত্তোলনের দায়ে গত ৪ অক্টোবর দুইজনকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালত। পরে কদ্দুস মিয়াকে ৬ মাস ও করিমকে ১ বছরের কারাদন্ড প্রদান করা হয় একই সাথে ২৬টি ড্রেজার মেশিন ও ৫ হাজার মিটার পাইপ ধ্বংস করা হয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিলটন চন্দ্র পাল। ভ্রাম্যমান আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে মুল হোতারা পালিয়ে যায়। বালুখেকোদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে এবং এলাকার বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট রক্ষা করতে প্রশাসনের প্রতি স্থানীয়রা দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিলটন চন্দ্র পাল বলেন, ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলনের সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়েছে এবং দুইজনকে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে মুল মালিকরা না পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে এর সাথে যারা জড়িত খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে