মাকে এক যুবক এবং মেয়েকে দুই যুবক ধর্ষণ করে
এসএম সুরুজ আলী ॥ চুনারুঘাটে রাতভর মা ও মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত দুই লম্পট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। সোমবার বিকেলে তারা হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। পরে আদালতের নির্দেশে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে ওই উপজেলার জিবধর ছড়া গ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে মামলার প্রধান আসামি শাকিল মিয়া (২৫) ও একই গ্রামের রেজ্জাক মিয়ার ছেলে হারুন মিয়া (১৯)। এর আগে রবিবার বিকেলে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে চুনারুঘাট উপজেলার রানীগাঁও ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকা গরমছড়ি ফরেস্ট মাজার সংলগ্ন একটি বাড়িতে আসে একদল যুবক। প্রথমে যুবকরা দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে মা ও মেয়েকে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও গরু নিয়ে যায়। তারা ডাকাতি করে চলে যাওয়ার সময় মা ও মেয়ের মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। এতে অজ্ঞান হয়ে পড়েন মা ও মেয়ে। পরে জ্ঞান ফিরলে তারা চিৎকার করেন। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। ধর্ষণের শিকার মা-মেয়ে ঘটনাটি স্থানীয় লোকজনসহ ইউপি সদস্যকে জানান।
চুনারুঘাট থানার ওসি (তদন্ত) চম্পক ধাম জানান, এ ঘটনায় শনিবার রাতে ৩ জনের নাম উল্লেখসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মা। পুলিশ রোববার সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামিসহ ২ জনকে গ্রেফতার করে। অপর আসামিদেরও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ভিকটিমদের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে গ্রেফতারকৃতরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। স্বীকারোক্তিতে তারা বলে ওই মহিলা সেখানে অভিভাবক ছাড়াই থাকতো এই খবর তারা জানতো। সেই হিসাবে ধর্ষণ করার পরিকল্পনা করেই ঘটনার সময় তারা ওই বাড়িতে গিয়ে মায়ের সাথে গল্প শুরু করে। এ সময় তাদেরকে তামাক পাতা দিয়ে পান দিলে তাও তারা খায়। এক পর্যায়ে ঘরের বাতি নিভিয়ে হারুন মাকে এবং শাকিল মিয়া মেয়েকে ধর্ষণ করে। অপর পলাতক আসামী শাকিল মিয়াও মেয়েকে ধর্ষণ করে। তারা ভিকটিম মেয়ের মোবাইলও নিয়ে আসে। পরবর্তীতে পুলিশ সেই মোবাইল উদ্ধার করে। তিনি আরও জানান, একই আদালতে সোমবার ভিকটিম মা মেয়ের ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। মামলার পলাতক আসামীকে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। অন্যান্য সংস্থাও তাকে গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করছে।