স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’ শুধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়, এ বিদ্যাপীঠে থাকবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ প্রচলিত অন্যান্য বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ। ফলে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হলে হবিগঞ্জের ছাত্রছাত্রীদেরকে আর সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য সিলেটে গিয়ে ধর্ণা দিতে হবে না। তারা হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়েই ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করবে। এমনই আশার কথা জানিয়েছেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির।
এমপি মোঃ আবু জাহির দৈনিক হবিগঞ্জের মুখকে জানান- গত ১৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত পৃষ্ঠা ৯০১৩ এর ৩ নম্বরের ১-এ উল্লেখ রয়েছে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের বিধান অনুযায়ী হবিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হইবে। তাছাড়া ৯০১৪ পৃষ্ঠায় ৫ এর ঘ-তে উল্লেখ রয়েছে ‘কৃষি বিজ্ঞানের পাশাপাশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ প্রচলিত অন্যান্য বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি’। এর ফলে এখন থেকে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় হবিগঞ্জের শিক্ষার্থীরা হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ প্রচলিত অন্যান্য বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ পাবেন। পূর্বে হবিগঞ্জের অনেক শিক্ষার্থী অর্থ সংকটসহ নানা প্রতিকূলতার কারণে মেধা এবং ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও বাইরের জেলায় গিয়ে লেখাপড়া করার সুযোগ পেত না। এখন তারা হবিগঞ্জেই পছন্দের বিষয়ে লেখাপড়া করার সুযোগ পাবে। হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হবিগঞ্জকে আরও একধাপ সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে। হবিগঞ্জবাসীর স্বপ্নের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হবিগঞ্জ সদরেই স্থাপিত হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন বিল ২০২০ পাস হয়। জাতীয় সংসদে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিলটি প্রস্তাব করলে তা কন্ঠভোটে পাস হয়। জাতীয় সংসদে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন বিল ২০২০ পাস হওয়ার খবরে হবিগঞ্জবাসীর মাঝে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। হবিগঞ্জে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পেতে এমপি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহিরের বলিষ্ট ভূমিকার প্রশংসা করে হবিগঞ্জের সর্বস্তরের জনগণ তাঁকে বিপুলভাবে সংবর্ধিত করছে। এমপি আবু জাহিরকে অভিনন্দন জানিয়ে অনেকেই ফেসবুকে পোস্ট দেন। অনেকেই পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে আবার অনেকেই স্বশরীরে তাঁর বাসায় গিয়ে ফুলের তোড়া দিয়ে অভিনন্দন জানাচ্ছেন।