‘হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন’ পাস হওয়ায় এমপি মোঃ আবু জাহিরকে

মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের বিশাল গণসংবর্ধনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমপি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র অনেক হয়েছে। মোকাবিলাও করেছি। এখনও চক্রান্ত থেমে নেই। তবে জনগণ আমাকে যে ভালবাসা দিয়েছে; এ ঋণ শোধ করা সম্ভব না। সারা জীবন আপনাদের এই ভালবাসা মাথায় রেখে সততা ও নিষ্ঠার সাথে জনসেবা করতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী হবিগঞ্জ সদরে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের আইন পাস হওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে চৌধুরী বাজার নারকেল হাটায় হবিগঞ্জ মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের উদ্যোগে তাঁকে দেয়া বিশাল গণসংবর্ধনায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, শুধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নয়; হবিগঞ্জে যত অর্জন সবকিছুর কৃতিত্বই জনগণের। কারণ তাঁরা ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন, আমাকে এমপি নির্বাচিত করেছেন। সেজন্যই আমি প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে আপনাদের জন্য বড় উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। আজ আপনারা আমাকে যে ফুল দিয়েছেন সেই ফুল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র প্রতি উৎসর্গ করতে চাই।
এমপি আবু জাহির বলেন, নিউফিল্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র জনসভায় হবিগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়নের জন্য আমি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। পরবর্তীতে হবিগঞ্জে মেডিকেল কলেজ, বাল্লা স্থলবন্দর, শায়েস্তাগঞ্জকে উপজেলায় বাস্তবায়ন ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি জানাই। আওয়ামী লীগের তৎকালীন প্রবীণ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তসহ অনেকেই তখন অবাক হয়েছিলেন। তবে আমার অনুরোধে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তও এসব দাবির প্রতি সমর্থন জানান। ওইদিনের জনসভায়ই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব দাবি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোতে চিঠি দেয়া হয়। প্রতিটি চিঠির অনুলিপি হবিগঞ্জে একমাত্র আমাকে দেয়া হয়েছিল। এরপর আমি তৎপরতা শুরু করি। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় সবগুলো দাবিই বাস্তবায়ন হলো।
এমপি আবু জাহির বলেন, আমি প্রথমবার নির্বাচিত হয়েই শিক্ষার উন্নয়নকে গুরুত্ব দিয়েছি। হবিগঞ্জে উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা করেছি। বিভিন্ন এলাকায় নির্মাণ করেছি অসংখ্য স্কুল-কলেজ। বিগত দিনে শিল্পাঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এসবের কারণে অন্যান্য এলাকার মানুষও এখন হবিগঞ্জমুখী। যে কারণে এখানকার ব্যবসা-বাণিজ্যেরও উন্নতি হয়েছে। আমি এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।
মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ শামছু মিয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও ব্যবসায়ী নেতা অমিয় রায়ের পরিচালনায় এমপি আবু জাহিরকে প্রদত্ত বিশাল গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোঃ আলমগীর চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান মিজান, মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক উসমান গনি, জেলা যুবলীগ সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম, জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শঙ্খ শুভ্র রায়, জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন খান, জেলা কৃষকলীগ সভাপতি হুমায়ূন কবির রেজা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি জগদীশ চন্দ্র মোদক। অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদুর রহমান বাবুল, সহ-সাধারণ সম্পাদক মনসুর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আজগর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক উৎফল রায়, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ জামান খান শুভ, ময়নুল মিয়া, কোষাধ্যক্ষ আলহাজ্ব সফিকুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মফিজুল ইসলাম বাচ্চু, ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল হান্নান, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মিন্টু দাশ, শ্রম ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক রতন রায়, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মনসুর আহমেদ রুবেল, প্রচার সম্পাদক বেলাল মিয়া, সদস্য নাসির উদ্দিন, বদরুল আলম চৌধুরী, অমৃত রায়, তাজুল ইসলাম, মঈন উদ্দিন খান, আব্দুর রাজ্জাক রুমেল, শ্যামল চন্দ্র রায়, মহিবুর রহমান টিপু, কায়েস আহমেদ শিপন, কাউছার আহমেদ রুমেল, জুয়েল মিয়া, কাজল মিয়া প্রমূখ। পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত ও গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে এমপি আবু জাহির এর হাতে ফুলের তোড়া ও সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন মার্চেন্ট এসোসিয়েশনসহ অসংখ্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।