পুটিজুরী ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে জি কে গউছ
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- আওয়ামীলীগ জনগণের ভোট হাইজ্যাক করে রাষ্ট্রক্ষমতায় গিয়েছে। দেশের গণতন্ত্রের কবর রচনা করে আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসন কায়েম করেছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আওয়ামীলীগ সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এতিমের টাকা আত্মসাতের মিথ্যা অভিযোগে সাজা দিয়েছে। এই টাকা বাংলাদেশ সরকারের নয়, জনগণের টাকাও নয়, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বন্ধু তৎকালিন কুয়েতের আমীর বাংলাদেশের এতিম পুনর্বাসনের জন্য ২ কোটি টাকা উপহার দিয়েছিলেন। ব্যাংকে গচ্ছিত এই টাকা বেড়ে আজ প্রায় ৭ কোটি টাকা হয়েছে। অথচ মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়া হয়েছে। জনগণের কাছ থেকে খালেদা জিয়াকে দূরে রাখতে এটা আওয়ামীলীগের চক্রান্ত। তিনি মঙ্গলবার বিকালে বাহুবল উপজেলার ২নং পুটিজুরী ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন- ফরিদপুরের ছাত্রলীগের সভাপতি ২ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। ছাত্রলীগের একজন জেলা সভাপতি যদি ২ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করতে পারে তাহলে আওয়ামীলীগের এমপি-মন্ত্রীরা কত হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। মিডিয়ায় দেখলাম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক ড্রাইভার শত কোটি টাকার মালিক। একজন ড্রাইভার শত কোটি টাকার মালিক হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বড় বড় কর্তাব্যক্তিরা জনগণের কত হাজার কোটি টাকা চুরি করেছে?
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে জি কে গউছ বলেন- দলকে সংগঠিত করে আমাদেরকে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে হবে। আগামী রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান সারাদেশে বিএনপিকে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগ নিয়েছেন। নেতার এই নির্দেশ বাস্তবায়নে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আওয়ামীলীগ সরকারের মিথ্যা মামলার কবল থেকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানকে মুক্ত করতে হলে আন্দোলনের বিকল্প নেই।
ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আসলম আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস এম বজলুর রহমান, বাহুবল উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম জিতু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আকদ্দস মিয়া বাবুল, যুগ্ম আহ্বায়ক তুষার চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান চৌধুরী ও হাজী শামছু মিয়া, লাখাই উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াদুদ তালুকদার আব্দাল, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুর রহমান কাজল, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য মহিবুল ইসলাম শাহীন, হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, মর্তুজা আহমেদ রিপন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমেদ, জেলা জাসাসের সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সফিকুর রহমান সিতু, অ্যাডভোকেট গুলজার খান, জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ছালেক, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি জিল্লুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল আমিন তালুকদার, জেলা যুবদলের সহ সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম কাওছার, রুমেল খান চৌধুরী প্রমুখ।
এর পূর্বে উৎসবমুখর পরিবেশে ২নং পুটিজুরী ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিলে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহন করা হয়। মোট ৪৫৯ জন ভোটারের মধ্যে ৩৯৮জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
কাউন্সিলে ২৪৫ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন খন্দকার আমজাদ হোসেন হারিছ। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সহ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ কবির মিয়া, সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন হাবিবুর রহমান তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ ফুল মিয়া। সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন শামসুল ইসলাম, তিনি ভোট পেয়েছেন ২১৫টি। শুধু সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে গোপন ব্যালটে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুদ্দত আহমেদ। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান চৌধুরী, এনামুল হক এনাম, আব্দুল হাই শিবলু, ফারুক আহমেদ ও ওয়াহিদ মিয়া।