হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের এক জরুরী সভায়
আমার হবিগঞ্জ পত্রিকার সাথে জড়িতদের কর্মকান্ড গণমাধ্যম নীতিমালা বিবর্জিত
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের এক জরুরী সভা বৃহস্পতিবার রাতে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। ক্লাব সভাপতি মোঃ ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সায়েদুজ্জামান জাহিরের স ালনায় প্রেসক্লাবের সাধারণ পরিষদের জরুরী সভায় তার প্রতি এ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়। এতে ৩২ জন সদস্য বক্তব্য রাখেন।
সভায় বক্তারা বলেন, মরনঘাতি করোনা ভাইরাসের কারণে হবিগঞ্জে থেকে প্রকাশিত সকল পত্রিকা বন্ধ থাকলেও নতুন ডিক্লারেশন প্রাপ্ত আমার হবিগঞ্জ পত্রিকার সম্পাদক সুশান্ত দাশগুপ্ত হবিগঞ্জ থেকে প্রকাশিত সকল পত্রিকার সমন্বয় না রেখে একক ভাবে পত্রিকা প্রকাশ করে চলেছেন। বর্তমান করোনা ভাইরাস থেকে হবিগঞ্জবাসীকে সুরক্ষাসহ ঘরবন্দি কর্মহীন শ্রমজীবী, অসহায় মানুষের খাদ্য সমস্যা সমাধান নিয়ে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সংগঠন স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় সুশান্ত দাশগুপ্ত হবিগঞ্জের সাংবাদিকদের সাখে কোন রূপ যোগাযোগ বা সমন্বয় না রেখে একক ভাবে পত্রিকা প্রকাশ করে যাচ্ছেন। এবং নিয়ম নীতিহীনভাবে প্রকাশিত পত্রিকায় সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের নামে অপপ্রচার চালিয়ে শান্ত হবিগঞ্জকে সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে অশান্ত ও বিশৃংখল করে তুলারর অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে সর্বমহলে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সুশান্ত দাশের সম্পাদনায় প্রকাশিত আমার হবিগঞ্জ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক রায়হান উদ্দিন সুমন তার ফেইজবুক আইডিতে একের পর এক হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব, ক্লাবের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের সম্পর্কে অশালিন মন্তব্য করে যাচ্ছে। সুশান্ত দাশ এসব অবহিত হয়েও কোন প্রতিকার না নিয়ে আরো তাকে উৎসাহিত করে যাচ্ছেন। আমার হবিগঞ্জ পত্রিকার সাথে জড়িতদের কর্মকান্ড গণমাধ্যম নীতিমালা বিবর্জিত। পাশাপাশি আমার হবিগঞ্জ পত্রিকায় হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য, হবিগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক দেশজমিন পত্রিকার সম্পদক মন্ডলীর সভাপতি, আলহাজ্ব এডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপিকে জড়িয়ে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে উদ্দেশ্যমুলক ভাবে একের পর সংবাদ প্রকাশ করে যাচ্ছে। এতে সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করে। আমার হবিগঞ্জ পত্রিকায় ও ফেইস বুকে সুশান্ত দাশ ও তার সম্পাদনায় প্রকাশিত পত্রিকায় বার্তা সম্পাদকের এমন অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক সায়েদুজ্জামান জাহির আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় তাকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি সুশান্ত দাশ ও তার সহযোগিদের অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।
বিভিন্ন মামলার আসামী এবং ইংল্যান্ডের নাগরিকত্ব থাকার পরও কিভাবে সুশান্ত দাশ গুপ্ত আমার হবিগঞ্জ পত্রিকা প্রকাশের অনুমতি পেয়েছেন সে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলসহ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।