চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় সংক্রমন জেলা নারায়নগঞ্জ থেকে গত কয়েক দিনে চুনারুঘাট উপজেলায় এসেছে শতাধিক গার্মেন্টস কর্মী ও চাকুরিজীবী। গামেন্টস বন্ধ হওয়ার পরই তারা নিজ নিজ বাড়িতে আসতে শুরু করেন। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিযনে এসব নতুন আসা লোকজনই এখন চুনারুঘাটবাসীর আতংক। এদের উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগ হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। ইতোমধ্যে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানগন এ বিষয়ে তাদের জানিয়ে দিয়েছেন। তবে তাদের অনেকেই তা মানছেন না। তাদের অনেকেই হাট বাজার ও আত্বীয় স্বজনের বাড়িতে ঘূরে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, গত কয়েক দিন ধরেই উপজেলা বিভিন্ন গ্রাম থেকে ফোন আসছে নারায়নগঞ্জ থেকে আসা লোকজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে আনার জন্য। স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের কর্মীদের মাধ্যমে নারায়নঞ্জ কিংবা ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে যারাই আসছেন তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা জানিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কে শুনে কার কথা। করোনা ভাইরাসের ভয় গ্রামাঞ্চলের মানুষের যেমন কম তেমনি বাইরের জেলা থেকে আসাদেরও ভয় নেই। তারা কেহই সামাাজিক দুরত্বা বজায় রাখছেন না। গত দুদিন ধরে এ প্রতিনিধি কাছে উপজেলার দুর্গাপুর, চান্দপুর, দুধপাতিল, কালেঙ্গা, উসমানপুর, কালিশিরিসহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে নারায়নগঞ্জ থেকে গার্মেন্টস কর্মী ও চাকুরিজীবীদের আসার কথা জানিয়েছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই কারো কথা না মেনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোজাম্মেল হোসেন জানান, গত কদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষ আমাকে ফোন দিয়ে জানাচ্ছে নারায়নগঞ্জ থেকে লোকজন আসার কথা। তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে আনা এবং পরীক্ষার জন্য তারা অনুরোধ করছেন। কিন্তু সবাইতো আক্রান্ত নাও হতে পারে। তবে তাদের অবশ্যই ১৪দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে মনে চলার জন্য আমরা লোক পাঠিয়ে তাদের জানিয়ে দিচ্ছি। কিন্তু তারা যদি সেটা না মানে তাহলে আমরা কি করবো। তিনি জানান, নারায়নগঞ্জ জেলা লক ডাউন থাকার পরও কিভাবে এত লোক উপজেলা আসছে তা আমার বোধদয় হচ্ছে না। তিনি এজন্য সকলকে সচেতন হওয়া এবং ঘর থেকে না বের হওয়ার আহবান জানান।