স্টাফ রিপোর্টার ॥ বৈষম্যবিরোধী মামলায় জেল হাজতে থাকা যুবলীগ নেতা মো. আব্দুল মোতালিব চৌধুরী মাহফুজকে জামিনে মুক্ত করতে বিএনপির কিছু নেতাকর্মী সক্রিয় হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর আগে কাগাপাশা ইউনিয়ন বিএনপির প্যাডে তাকে দলের সদস্য হিসেবে প্রত্যয়নপত্রও প্রদান করা হয়েছিল। বিষয়টি প্রকাশ পেলে পরে তা গোপন করার চেষ্টা করা হয়। স্থানীয়দের শঙ্কা, মাহফুজ জামিনে মুক্তি পেলে এলাকায় পুনরায় প্রভাব বিস্তার ও নাশকতার আশঙ্কা রয়েছে। আগামী ১৭ নভেম্বর শেখ হাসিনার রায়। তাই এর আগে মাহফুজ জামিনে ছাড়া পেলে প্রভাব বিস্তারের শঙ্কা রয়েছে।
সূত্র জানায়, জামিনের প্রক্রিয়ায় সুবিধা নিতে এখনো তাকে বিএনপি কর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চলছে। অথচ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জেলা যুবলীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরীর আত্মীয় পরিচয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতেন মাহফুজ। তিনি বানিয়াচং উপজেলার কাগাপাশা ইউনিয়নের চান্দপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মুছাব্বির চৌধুরীর ছেলে এবং ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল আলীম চৌধুরীর ভাই। স্থানীয়রা জানান, বিভিন্ন সরকারের আমলে সুবিধা নেয়ার জন্যই দুই ভাই দুই দলে সক্রিয় থাকেন।
গত ১২ এপ্রিল হবিগঞ্জ শহরের স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় মাহফুজকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করে। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। এছাড়া হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর মামলায় তাকে শ্যোন এ্যারেস্ট দেখানো হয়।

